পৃথিবী চ্যাপ্টা- প্রমাণ করতে গিয়ে মরলেন রকেট মাইক
যুক্তরাষ্ট্রের ডানপিটে পাইলট মাইক হিউজেস। 'খ্যাপালোক' হিসেবে খ্যাতি ছিল তার। পৃথিবী কমলা লেবুর মতো গোলাকার নয়, বরং চ্যাপ্টা- এ তত্ত্ব জাহির করে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন।
নিজের তত্ত্বকে প্রমাণ করতে গিয়ে এবার বেঘোরেই প্রাণ দিতে হলো তাকে। নিজের বানানো রকেটে উড়তে গিয়ে, ক্যালিফোর্নিয়ার মরুভূমিতে মুখ থুবড়ে পড়েছিলেন তিনি।
শনিবার বারস্টো শহরের কাছাকাছি অঞ্চল থেকে নিজের তৈরি বাষ্পচালিত রকেট নিয়ে আকাশে উড়াল দেন ৬৪ বছর বয়সী মাইক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই রকেটটি মাটিতে থুবড়ে পড়ে।
মাইক বিশ্বাস করতেন, পৃথিবী চ্যাপ্টা। সেটি প্রমাণের জন্য মহাকাশে যাওয়ারও পরিকল্পনা ছিল তার। খবর বিবিসির।
পার্টনার ওয়াল্ডো স্টেকসের সহযোগিতায় নিজের তৈরি রকেটে ৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে চেয়েছিলেন মাইক। তার সেই প্রচেষ্টার ভিডিওতে দেখা যায়, রকেটের সঙ্গে একটি প্যারাসুটও ছিল। উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সেটিকে মেলে যেতে দেখা যায়। প্যারাসুটটি সম্ভবত একটু আগেভাগেই মেলে ফেলেছিলেন মাইক।
নিজের বাড়ির পেছনে, মাইক ও তার সহকারীরা দীর্ঘদিন ধরে একটু একটু করে বানিয়েছিলেন রকেটটি। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার ডলার বা ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
অ্যাপল ভেলি শহরের অধিবাসী মাইক পৃথিবীর আকৃতি সম্পর্কে নিজস্ব মতবাদ দিয়ে দুনিয়াজুড়ে বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছিলেন। তত্ত্বটির প্রমাণের প্রচেষ্টা এটিই তার প্রথম নয়। এর আগে, গত বছরের মার্চে ১ হাজার ৮৭০ ফুট উচ্চতায় চক্করও দিয়েছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, 'নিজের কাজ নিয়ে আমি খুশি কি না? হুম, সম্ভবত খুশি। কাল সকালে সেটা অনুভব করতে পারব। বিছানা ছাড়তে বোধহয় ইচ্ছা করবে না আমার। এখন অন্তত বাড়ি ফিরে ডিনার করতে, আর আমার বিড়ালগুলোকে দেখতে পাব।'
এ ছাড়া ২০০২ সালে গাড়ি জাম্প দিয়ে, ৩১ মিটার বা ১০৩ ফুট পেরিয়ে 'দীর্ঘতম লিমোজিন জাম্প' হিসেবে গিনেস বুকে নাম উঠিয়েছিলেন তিনি।