৭৮ বছর বয়সী এক নারী ব্যাংক ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার!
এর আগে দুইটি ব্যাংক ডাকাতির দায়ে অভিযুক্ত ৭৮ বছর বয়সী নারী মিসৌরিতে তৃতীয় আরেকটি ব্যাংক ডাকাতির সময় গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানিয়েছে অঙ্গরাজ্যটির পুলিশ।
বনি গোচ নামের এই নারী গপার্ট ফাইন্যানশিয়াল ব্যাংকে ঢুকে ব্যাংকের কর্মকর্তাকে একটি কাগজ বাড়িয়ে দেন, যাতে তাকে কয়েক হাজার ডলার নগদ দেওয়ার কথা লেখা ছিল। নগদ টাকা নিয়ে গাড়িতে করে চলে যাওয়ার আগে তিনি একটি ধন্যবাদ লেখা কাগজও বাড়িয়ে দেন, যাতে লেখা ছিল, "ধন্যবাদ। আমি তোমার ক্ষতি করতে চাইনি।"
মিস গোচ এখন জেলে বসে আছেন যেখান থেকে মুক্তি পেতে তাকে গুনতে হবে ২৫,০০০ ডলার।
কানসাস সিটির স্টার পত্রিকা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কালো রঙের এন৯৫ মাস্ক, কালো সানগ্লাস এবং প্লাস্টিকের গ্লাভস পরে তিনি গত বুধবার ব্যাংকে ঢুকে কর্মকর্তাকে 'ছোট অঙ্কের ব্যাংকনোটে ১৩ হাজার ডলার দিন' লেখা একটি কাগজ হস্তান্তর করেন। সার্ভেইল্যান্স ভিডিও থেকে দেখা যায়, তিনি ব্যাংকের কাউন্টারে জোরে জোরে থাপ্পড় দিচ্ছেন, তাকে দ্রুত টাকাটা দেওয়ার জন্য। এরপর 'প্রতিবন্ধী' চিহ্নিত করা একটি বুইক এনক্লেভ গাড়িতে করে তিনি চলে যান।
মামলার নথি থেকে আরও জানা যায়, প্লিজ্যান্ট হিল মিসৌরি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের অফিসাররা দুপুর ৩:২০-এর দিকে ব্যাংক ডাকাতির খবর পান এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে অপরাধীকে ধরতে ছুটে যান। অফিসাররা মিস গোচকে তার গাড়িতেই মদ্যপ অবস্থায় খুঁজে পান। এদিকে ডাকাতি করা অর্থ পাওয়া যায় গাড়ির পেছনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অবস্থায়। আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা চুরির অপরাধে মিস গোচকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্লিজ্যান্ট হিল পুলিশ প্রধান টমি রাইট কানসাস সিটি স্টার পত্রিকায় মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, "যখন অফিসাররা তার দিকে এগিয়ে যায়, তখন তারা বেশ খানিকটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। কারণ ছোট আকারের বয়স্ক একজন নারী গাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। আমরা নিশ্চিত ছিলাম না যে, আমরা আসল অপরাধীকেই চিহ্নিত করতে পেরেছি কিনা।"
তিনি এর আগেও দুইবার ডাকাতি করেছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রথমটি ১৯৭৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় এবং দ্বিতীয়টি ২০২০ সালে আরেকটি ব্যাংকে। সেখানেও তিনি একটি জন্মদিনের কার্ডে লিখে দেন "এটা একটা ডাকাতি।"
২০২০ সালে ডাকাতির পর তার ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে তার প্রবেশনের সময় শেষ হয়।
রাইট জানান মিস গোচের কোনো শারীরিক অসুস্থতা নেই। তবে এ ঘটনার পেছনে তার বয়স কোনোভাবে ভূমিকা রাখছে কিনা সে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে পুলিশ বিভাগ।
সূত্র: বিবিসি