আগামী বছর রেকর্ড প্রবৃদ্ধিতে ফিরবে দেশের অর্থনীতি
করোনাভাইরাসজনিত অর্থনৈতিক অচলাবস্থার মুখে চলতি অর্থবছর শেষে মোট জাতীয় উৎপাদন প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) মাত্র ২ শতাংশে নামবে। তবে আশার কথা হলো, আগামী অর্থবছরে তা সম্পূর্ণ ঘুরে দাঁড়িয়ে সাড়ে ৯ শতাংশের রেকর্ড স্পর্শ করবে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক দাতাগোষ্ঠী আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আজ বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সুদিনের এই আভাস দিয়েছে।
গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ৮ দশমিক ১৫ শতাংশের উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আইএমএফ বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৪ শতাংশ হবে এমন পূর্বাভাস সূচক দেয়।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ অর্থনীতির কলেবর বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। যাতে ধ্বস নামাতে চলেছে করোনাভাইরাস।
চলতি সপ্তাহেই বিশ্বব্যাংক আগামী ৩০ জুনে শেষ হতে চলা অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ২-৩ শতাংশের মধ্যে থাকার পূর্বাভাস দেয়। এই মন্দাভাব আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরেও অব্যাহত থাকার আশঙ্কাও করা হয় সেখানে। খুব খারাপ পরিস্থিতিতে ১ দশমিক ২ এবং খুব ভালো পরিস্থিতিতে ২ দশমিক ৯ শতাংশ জিডিপি বিকাশের অনুমান করে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ। এর ফলে বাংলাদেশ এক দীর্ঘমেয়াদি মন্দার কবলে পড়তে চলেছে বলে জানায় সংস্থাটি।
এরপরেই আজ বুধবারের প্রতিবেদনে আইএমএফ অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর অনুমানের কথা জানিয়েছে।
আইএমএফের সর্বশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কোভিড-১৯ এর বিশ্ব মহামারিতে অসংখ্য মানুষের অমূল্য জীবন হারিয়ে যাচ্ছে। এই ভয়াবহতা ঠেকাতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো কার্যত বিশ্ব অর্থনীতির চাকা অচল করে দিয়েছে। বিঘ্নিত হচ্ছে পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহের শৃঙ্খল।
এই মহামারির কারণে চলতি বছর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বন্ধ হয়ে তা উল্টো ঋণাত্মক ৩ শতাংশ সংকোচনের মুখে পড়বে। এটা ২০০৮-০৯ সালের বিশ্বমন্দার চাইতেও ভয়াবহ দুর্যোগ ডেকে আনবে।
তবে পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলে মন্দা থেকে উত্তরণ করে বৈশ্বিক জিডিপি ৫ দশমিক ৮ শতাংশের উচ্চ বিকাশ অর্জন করবে। এইক্ষেত্রে নানা দেশের সরকার ঘোষিত প্রণোদনা এবং সহায়ক নীতিমালা মুখ্য ভূমিকা পালন করতে চলেছে।