এশিয়ায় বিনিয়োগের নতুন গন্তব্য হয়ে উঠছে বাংলাদেশ: জাপানি রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেছেন, এশিয়ায় বিনিয়োগের নতুন গন্তব্য হয়ে উঠছে বাংলাদেশ।
"বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে জাপানি বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনুযায়ী, 'চায়না প্লাস ওয়ান' বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে বাংলাদেশ। কোম্পানিগুলো এখন চীনের বাইরেও বিনিয়োগের জায়গা সন্ধান করে চলেছে," বৃহস্পতিবার ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত 'ডিকাব টকে' অংশ নিয়ে এ কথা বলেন জাপানি রাষ্ট্রদূত।
নাওকি ইতো আরও বলেন, "বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই আলো ছড়াবে ও নিজেদের রূপান্তর ঘটাবে, তবে এজন্য তাদের এখনও অনেক পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে। এখানে সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের শুধু চাই পরিবেশ। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই পদ্মা সেতু ও ঢাকা মেট্রো রেলের মতো বড় অবকাঠামো আসতে চলেছে।"
এরপর তিনি যোগ করেন, "জাপানি কোম্পানিগুলোই হয়তো প্রথম নয় যারা এখানে এসে বিনিয়োগ করবে ও নতুন বাজার অনুসন্ধান করবে। কিন্তু একবার যদি ভালো অবকাঠামো ও পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়, তবে জাপানি কোম্পানিগুলো এই বাজারে দীর্ঘমেয়াদী কমিটমেন্ট দেবে।"
জাপানি রাষ্ট্রদূত আরও জানান যে আড়াইহাজার স্পেশাল ইকোনমিক জোন (বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল) প্রস্তুত হয়ে গেছে এবং তারা এই বছরের শেষ নাগাদ বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রত্যাশা করছেন।
নাওকি ইতো আশ্বস্ত করেন যে তার দেশ আগামী নভেম্বরে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আরও টিকা পাঠাবে।
এর আগে গত জুলাই ও আগস্টে জাপান বাংলাদেশকে ৩০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা উপহার দেয়।
হলি আর্টিজান বেকারি জঙ্গী হামলার পর থেকে জাপান নানাভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছে উল্লেখ করে নাওকি ইতো বলেন, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য জাপান বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী উপহারস্বরূপ পাঠাবে। এসব সামগ্রীর একটি অংশ এ বছরের শেষ দিকে বা সামনের বছরের শুরুর দিকে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন যে ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর সফল হবে। তবে তার মতে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করা।