কৃষকের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার নতুন প্রণোদনা ঘোষণা
কোভিডকালে সৃষ্ট আর্থিক সংকট মোকাবেলায় কৃষকদের জন্য ৩০০০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ তহবিল থেকে জামানতবিহীন সহজ শর্তে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে কৃষকরা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত নীতিমালা দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে বিশেষ প্রণোদনায় পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় কৃষি খাতের জন্য তিন হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব এ তহবিলের মেয়াদ হবে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত।
পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ঋণ সুবিধা নিতে ইচ্ছুক তফসিলি ব্যাংকসমূহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে একটি অংশগ্রহণমূলক চুক্তি স্বাক্ষর করবে।
এ স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংক নিজস্ব কৃষক ও গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ নিশ্চিত করবে। ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের জন্য এককভাবে জামানত বিহীন সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা যাবে।
গৃহস্থালি পর্যায়ে গাভী পালন, গরু মোটাতাজাকরণ খাতে ব্যক্তিগত গ্যারান্টির বিপরীতে ঋণ প্রদানে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
শস্য ও ফসল ঋণ ব্যতীত অন্যান্য খাতের ঋণে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নূন্যতম জামানত ও সহায়ক জামানত নিতে পারবে। এ স্কিমের ঋণ কোনভাবেই গ্রাহকের পুরাতন ঋণের সমন্বয়ে করা যাবে না। এছাড়া ঋণ খেলাপিরা এ স্কিমের আওতায় ঋণ পাবে না।
এ স্কিমের আওতায় ব্যাংকগুলো ১ শতাংশ সুদে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ নিতে পারবে। কৃষক পর্যায়ে সুদ বা মুনাফার হার হবে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ।
অংশগ্রহণকারী ব্যাংক পুনঃঅর্থায়ন গ্রহণের তারিখ হতে অনধিক ১৮ মাসের (১২ মাস + গ্রেস পিরিয়ড ৬ মাস) মধ্যে আসল এবং সুদসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট পরিশোধ করবে।
কৃষক পর্যায়ে শস্য ও ফসল খাতে বিতরণ করা ঋণের সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ১২ মাস। এছাড়া, অন্যান্য খাতে বিতরণকৃত ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ন্যূনতম ৩ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮ মাস।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গত বছর কোভিড-১৯ এর প্রথম দফায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য ৫০০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই তহবিল থেকে এখন পর্যন্ত ৮৬ শতাংশ অর্থাৎ ৪৩০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।