চিংড়ি চাষে বাধার শেষ নেই
দেশ স্বাধীনের পর পাট, চা ও চামড়ার বাইরে সবচেয়ে বড় সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত হিসেবে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলো চিংড়ি। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরেই ৫.৫৬ মিলিয়ন ডলারের চিংড়ি রপ্তানি করে ভবিষ্যতে দৃঢ় অবস্থান গড়ে তোলার স্পষ্ট আভাস দিচ্ছিলো খাতটি।
ওই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগও করেছিলেন। কিন্তু ভাইরাসের ভয়ে উচ্চ উৎপাদনশীল ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমোদন না দেওয়ায় চিংড়ি রপ্তানিতে পতন ঘটেছে বাংলাদেশের। চিংড়ির অভাবে ১৪০টি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার মধ্যে ৪৮টি কোনরকমে টিকে আছে। বাকিগুলো হয় বন্ধ হয়ে গেছে, না হয় আলু রাখার কোল্ড স্টোরেজ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। স্বাধীনতার সু জয়ন্তীর বছরে চিংড়ি রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪৭৭ মিলিয়ন ডলারে।
কোভিড পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পর ইউরোপ-আমেরিকার হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলো পূর্ণোদ্যমে চালু হওয়ায় চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে চিংড়ি রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ বাড়লেও কাঁচামাল বা চিংড়ি সংকটের কারণে বিপুল রপ্তানি চাহিদা সত্ত্বেও বন্ধ রয়েছে ১৩২টি প্রক্রিয়াকরণ কারখানা। সক্ষমতার এক-পঞ্চমাংশ নিয়ে কোন রকমে চালু আছে ৪৮টি কারখানা।
এজন্য আমলাদের অতিরক্ষণশীল মনোভাব ও ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত লোভকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। ভাইরাস ছড়ানোর ভয়ে উচ্চ ফলনশীল ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমোদন না দেওয়া ও নব্বইয়ের দশকে চিংড়ির ভেতরে তারকাঁটা, শ্যাওলা ঢুকিয়ে রপ্তানির কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞাকে সম্ভাবনাময় খাতটির পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
অথচ এ সময়ে বিশ্বের ৬২টি দেশ বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষ করে ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে রপ্তানি করছে। এশিয়ার ১৫টি চিংড়ি উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ বাদে সবাই ভেনামি চিংড়ি চাষ করছে। চলতি বছর এম ইউ সী ফুডস, খুলনার পাইকগাছায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের লোনাপানি কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে প্রতি হেক্টরে ৮.৬২ টন চিংড়ি পেয়েছে। অথচ সনাতন পদ্ধতিতে বাগদা ও গলদা চিংড়ি চাষ করে হেক্টরপ্রতি সর্বোচ্চ ৩৩০ কেজি পাওয়া যায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল বাংলাদেশেও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমোদন দিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে এ বিষয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। খুব শিগগিরই আরেকটি সভা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিএফএফএ) সাবেক সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, স্বাধীনতার পর প্রথম বছরেই চিংড়ি রপ্তানিতে সফলতার চিত্র দেখে কুমিল্লার এক জনসভায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান চিংড়িকে দেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানিপণ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। তারপর থেকেই রপ্তানিকারকরা চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে তুলতে থাকে। ব্যাংকও তখন কারখানা করার জন্য ঋণ দিতে তৎপর হয়ে উঠে।
তিনি বলেন, দেশের দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে বছরে দেড় লাখ টন চিংড়ি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তখনকার সরকার। তাতে চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বিনিয়োগ আরও বাড়তে থাকে। এভাবে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তখনকার মূল্যে প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে ১৪০টি কারখানা গড়ে উঠে। এসব কারখানার জন্য বছরে ৪ লাখ টন চিংড়ির প্রয়োজন হতো।
"কারখানা যে হারে বাড়ছিল, চিংড়ি চাষ সে হারে বাড়ছিল না। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ চিংড়ি পাওয়া গেছে, যার পরিমাণ ৪৭.৬৩ টন। ওই বছর চিংড়ি রপ্তানি থেকেও সর্বোচ্চ ৫৫০ মিলিয়ন ডলার আয় হয়। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে চিংড়ির যোগান ও রপ্তানি আয়- দুটোই কমছে। গত অর্থবছর আরও কমে ৩০.৬১ টনে নেমেছে", জানান তিনি।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক চিংড়ির বাজারে বাংলাদেশের অংশ কমতে কমতে এখন ২% এর নিচে নেমে গেছে। সনাতন পদ্ধতিতে বাগদা ও গলদা চিংড়ি চাষে খরচ বেশি, প্রতি হেক্টরে পাওয়া যায় মাত্র ৩০০ কেজির মতো। ফলে বাংলাদেশে চিংড়ির উৎপাদন খরচ বেশি।
প্রতিযোগি দেশগুলো কম খরচে ভেনামি চিংড়ি চাষ করে হেক্টর প্রতি ৯০০০-১০,০০০ কেজি চিংড়ি পাচ্ছে। ফলে তারা তুলনামূলকভাবে অনেক কম মূল্যে বিদেশে রপ্তানি করতে পারছে। রপ্তানি বাজারে অংশ কম হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে সোর্সিং এর উপর মোটেই নির্ভরশীল নয় আমদানিকারকরা। ফলে রপ্তানিকারক হিসেবে বাংলাদেশের গুরুত্বও কমে গেছে। যে ৪৮টি কারখানা রপ্তানি করছে, তারাও উৎপাদন সক্ষমতার এক-পঞ্চমাংশ ব্যবহার করতে পারছে মাত্র।
কেমন আছেন কারখানা মালিকরা
একসময়কার বিপুল সম্ভাবনাময় এ খাতটিতে বিনিয়োগ করে এখন অনেকেই দুর্দশায় জীবন কাটাচ্ছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সনদপ্রাপ্ত ১০৫ কারখানার মধ্যে ৫৭টি পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে, যাদের মালিকরা ইতিমধ্যে কেউ কেউ কারখানা বিক্রি করে দিয়েছেন। আবার কেউবা কারখানাকে কোল্ড স্টোরেজ হিসেবে ব্যবহার করছেন। অনেকে ঋণখেলাপি হয়ে ব্যাংকের মামলা মোকাবেলা করছেন।
সাতক্ষীরা ফুডস লিমিটেড নামের একটি প্রক্রিয়াকরণ কারখানা কাঁচামালের অভাবে প্রায় ৬ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খলিলুল্লাহ এখন আলু, আদা, পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্যের ব্যবসা শুরু করেছেন।
টিবিএসকে তিনি বলেন, "চিংড়ি ব্যবসা বন্ধের পর প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে অন্য ব্যবসায় নেমেছেন অনেকে। কোনো প্রতিষ্ঠান সাদা মাছ প্রক্রিয়াকরণ করছে, আবার কোনো প্রতিষ্ঠান হিমাগারে আলু, আদা, পেঁয়াজ সংরক্ষণ করছে।"
অনেকে আবার সবজি প্রক্রিয়াকরণ করছে। উদ্যোক্তারা এসব প্রতিষ্ঠান বাঁচিয়ে রাখতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে হিমায়িত চিংড়ি এখন একটু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে বাগদা চিংড়ির দর ৩০ শতাংশের মতো বেড়েছে। স্থানীয়ভাবে বড় বাগদা ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যেটা মহামারির মধ্যে কম ছিল।
এম খলিলুল্লাহ বলেন, গত ১০ বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে চিংড়ির উৎপাদন কমে গেছে। এ অঞ্চলে এখন ভেনামি চিংড়ির উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। সীমান্ত অঞ্চলে ভেনামি চাষে সফলতা পেয়েছে ভারত। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও এর বাণিজ্যিক অনুমোদন মেলেনি।
ইইউ এর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা
চিংড়ির প্রধান রপ্তানি বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যা চিংড়ি চাষ ও রপ্তানি মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে।
মূলত রপ্তানি হওয়া চিংড়ির ওজন বাড়াতে চিংড়ির ভেতরে লোহাজাতীয় পণ্য ঢুকানো ছাড়াও এক ধরণের জেল ও শ্যাওলা ব্যবহার করায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইইউ। রপ্তানির আগে সরকারের ল্যাবরেটরিগুলোতে পরীক্ষা করা হলেও জালিয়াতি ধরা হতো না।
পরে ইইউ এর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করাতে কারখানাগুলোকে ইইউ নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় সরকার। সরকার প্রতিটি কারখানাকে ৪০ লাখ টাকা করে স্বল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা করে দেয়। এখন পর্যন্ত দেশের ১০৫টি কারখানার ইইউ সনদ রয়েছে, যেগুলোকে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছে সরকার।
কাজী বেলায়েত হোসেন বলেন, ইইউ এর সনদ পাওয়ার পর বাংলাদেশের রপ্তানি আয় কয়েকগুণ বাড়ানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু শুধু চিংড়ি সংকটের কারণে সে সম্ভাবনা কাজে লাগেনি।
পরীক্ষামূলক চাষে মিলছে সুফল
অনেক দেরিতে হলেও ২০১৯ সালে সরকার পরীক্ষামূলকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষের জন্য দু'টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেয়, যারা এবার খুলনার পাইকগাছায় উৎপাদন করেছে। উভয় ক্ষেত্রেই হেক্টরে প্রায় ৮ টন চিংড়ি পাওয়া গেছে।
তবে এই অনুমোদন পাওয়াও এতো সহজ ছিল না বলে টিবিএসকে জানান বিএফএফএ'র নেতারা। তারা বলছেন, পরীক্ষামূলক চাষের অনুমোদনের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অনেক ঘুরতে হয়েছে। অবশেষে সুশীলন ও এমইউসি ফুডসকে অনুমোদন দেওয়া হলেও বলা হয় যে, পরীক্ষামূলক চাষে সরকার কোন ব্যয় বহন করবে না, পুরোটাই বিএফএফএকে বহন করতে হবে।
"সে শর্তে রাজী হয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে প্রতি হেক্টরে ১০,০০০ কেজি চিংড়ি পেয়েছি। একই পরিমাণ জমিতে বাগদা-গলদা চাষ করে ৩০০ কেজির বেশি পাওয়া যেতো না", জানান বেলায়েত হোসেন।
তারা এখন বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমোদন দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি সভা হয়েছে। খুব শিগগিরই আরেকটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সুশীলনের প্রকল্প পরামর্শক প্রফুল্ল কুমার সরকার বলেন, পাইলট প্রকল্পে অপরিকল্পিত পুকুরে চাষ করে হেক্টর প্রতি প্রায় ১০ টন করে ভেনামি চাষ সম্ভব হয়েছে। তবে পুরো পদ্ধতি মেনে চাষ করলে হেক্টর প্রতি প্রায় ২০ থেকে ২২ টন ভেনামি চাষও সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, এদেশের মৎস্য পরিবেশ ভেনামির জন্য সহায়ক তবে চাষকৃত পুকুরের গভীরতা লাগে ৬ থেকে ৭ ফিট। এটি উচ্চ ফলনশীল ও সহনশীল চিংড়ি হওয়ায় রোগবালাই কম। আবার এদের খাবারও কম দামে পাওয়া যায়।
ভেনামি চাষে ৩ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি সম্ভব
বিদ্যমান চিংড়ি চাষের জমির মাত্র ১৬% জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষ করলে ১০৫টি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প পুরোদমে চালু করার পাশাপাশি অতিরিক্ত ৫০টি কারখানায় চিংড়ির যোগান দেওয়া সম্ভব বলে এক প্রতিবেদনে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষকে জানিয়েছেন একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের কো-অর্ডিনেটর মো. আব্দুর রহিম খান।
গত ২৮ অক্টোবর তৈরি করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'বর্তমানে দেশে ২,৫৮,৫৫৩ একর জমিতে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে মাত্র ১৬% বা ৪১,০০০ হেক্টর জমিতে ভেনামি চিংড়ি চাষ করে ৩ লাখ টন অতিরিক্ত চিংড়ি উৎপাদন সম্ভব। বর্তমানে চালু ৪৮টি কারখানার সঙ্গে নিষ্ক্রিয় ৫৭টি কারখানায় পূর্ণোদ্যমে রপ্তানি পরিচালনা করলেও উৎপাদিত চিংড়ি রপ্তানির জন্য আরও প্রায় ৫০টি কারখানা নতুনভাবে স্থাপন করতে হবে। এতে বছরে ২.৫০ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারের অধিক রপ্তানি আয় করা সম্ভব হবে।
আব্দুর রহিম খান জানান, বিশ্বজুড়ে ভেনামি চিংড়ি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং আন্তর্জাতিক রপ্তানি বাজারের ৭৭% দখল করে নিয়েছে। সুতরাং হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি আয় ও প্রক্রিয়াজাত কারখানাগুলো চালু রাখার স্বার্থে বাগদা ও গলদা চাষ পদ্ধতি আধুনিকায়নের পাশাপাশি ভেনামি চিংড়ির হ্যাচারিসহ বাণিজ্যিক চাষ অবিলম্বে উন্মুক্ত করার অনুমতি আবশ্যক।
একই সঙ্গে আংশিক চালু বা পুরোপুরি বন্ধ থাকা কারখানাগুলোর ব্যাংকের দায়-দেনা পরিশোধ করে পুনর্বাসন হওয়ার সুযোগ দিতে সরকারের সহানুভূতি প্রয়োজন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল।
এছাড়া, চিংড়ি উৎপাদন বাড়াতে চাষ পদ্ধতি আধুনিকায়ন করতে চাষিকে অর্থের যোগান দেওয়ার সুপারিশ করে কাউন্সিল বলেছে, অন্যান্য কৃষিপণ্যের ন্যায় চিংড়ি চাষীদেরও ব্যাংকঋণ ও বীমা সুবিধা দিতে হবে। কৃষিখাত হিসেবে চিংড়ি চাষে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ ও ডিজেলের দাম নির্ধারণ করতে হবে।