দেশের গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে এডিবির ১০ কোটি ডলার ঋণ
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশে চলমান গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে।
এডিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ অর্থায়নের মাধ্যমে পল্লী সংযোগ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ককে ২ হাজার ৬৩০ কিলোমিটারে উন্নীত করা হবে।
২০১৮ সালে ৩৪ প্রান্তিক জেলার রাস্তাঘাটকে সব মৌসুমে চলার উপযোগী, জলবায়ু সহিষ্ণু ও নিরাপদ করতে ২০ কোটি মার্কিন ডলারের প্যাকেজে অনুমোদন দেওয়া হয়। সম্প্রসারিত এ প্রকল্পের ফলে ৪ কোটিরও বেশি মানুষ উপকৃত হবে এবং পরবর্তী সময়ে এ প্রকল্পের আওতা আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে এডিবি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অপর্যাপ্ত গ্রামীণ পরিবহন ব্যবস্থা এবং দুর্বল বাজার অবকাঠামো বাংলাদেশের পল্লী উন্নয়নের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া ঘন ঘন বন্যা এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগও পরিস্থিতিকে খারাপ করে দেয়, যাতে কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।
গ্রামীণ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও কম সব মৌসুমে চলার উপযোগী রাস্তা পেয়েছে, যা দেশের মোট গ্রামীণ রাস্তার দৈর্ঘ্যের এক তৃতীয়াংশেরও কম।
অতিরিক্ত এ অর্থায়ন দেশের স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নে সরকারের অবকাঠামোগত ব্যয়েরও পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করা হবে, যা করোনভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অবকাঠামোগত ব্যয় স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা সরবরাহের সুযোগ বৃদ্ধি করবে এবং অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদী উন্নতির সম্ভাবনা তৈরি করবে।
এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৪৪ কোটি ৯২.৩ লাখ ডলার। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ১৪ কোটি ৯২.৩ লাখ ডলার। প্রকল্পটি ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এডিবির সিনিয়র পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ অলিভিয়ার ড্রিউ বলেন, 'পল্লী সংযোগ উন্নয়ন প্রকল্প সম্প্রসারণের ফলে আরও বেশি মানুষ অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারবে এবং কৃষক তার কৃষি জমি থেকেই পণ্যসেবা দ্রুত ও সহজে বাজারে সরবরাহ করতে পারবে।'
তিনি বলেন, 'নারী এবং শিশুরা যেকোনো আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে সহজ ও নিরাপদে শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামাজিক পরিষেবাগুলো গ্রহণের সুযোগ পাবে।'