নভেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩১.২৬ শতাংশ
গেল নভেম্বরে রপ্তানি বাণিজ্য থেকে ৪.০৪ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। বছরওয়ারি হিসাবে যা গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৩১.২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ঘটনা।
এই উন্নতিতে মূল অবদান রেখেছে পোশাক রপ্তানির আশাব্যঞ্জক পারফর্ম্যান্স। নভেম্বরে ফ্রোজেন ও জ্যান্ত মাছ, কৃষি পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতেও মাঝারি ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তবে গেল অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে রপ্তানি আয় ৬৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার কমেছে। গেল মাসে প্রকৌশল পণ্য রপ্তানিতে ঋণাত্মক ১৮.০৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রাথমিক তথ্যসূত্রে এসব বিষয় জানা যায়।
তার আগের মাস অক্টোবরে ৫০ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। এসময় মোট ৪৭৩ কোটি ডলার আয় হয়, যা ছিল একক কোনো মাসে সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড।
ইপিবির তথ্যানুসারে, নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় কমে হয়েছে ৩৫৭ কোটি ডলার। এরমধ্যে ৩২৩ কোটি ডলারই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে।
এছাড়া, ২০২০-২১ অর্থবছরের চেয়ে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে এ খাতে ২২.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
নভেম্বর মাসে আরএমজি পণ্য রপ্তানি ৩২.৩৪ শতাংশ বাড়ে। নিটওয়্যার উপখাতে এই বৃদ্ধি ছিল ৩৩.০৫ এবং উভেন পণ্যের ক্ষেত্রে ৩১.৪৮ শতাংশ।
এব্যাপারে দেশের পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন- বিজিএমইএ'র একজন পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, '২০২১ এর নভেম্বরে আমাদের রপ্তানি মূল্যের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও আমরা ৩২৪ কোটি ডলারের আরএমজি পণ্য রপ্তানি করেছি। যার অর্থ নভেম্বরে প্রকৃত রপ্তানি হয়েছে অনেক কম বা ২৪৪ কোটি ডলার '
একইসাথে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাপড়, ডাই ও কেমিক্যালের মতো কাঁচামালের দরবৃদ্ধির ঘটনাও উল্লেখ করেন তিনি।
'পণ্য পরিবহনের খরচ এখন রেকর্ড উচ্চতায়। তাই রপ্তানি মূল্যে পণ্য উৎপাদনের বাড়তি অনেক খরচ যোগ হয়েছে। এসব হিসাব বাদ দিলে পোশাকের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিকে সন্তোষজনক নয় বরং সামান্য বলাই উচিত হবে।'