হুইসেলব্লোয়ার’স বা ন্যায়পাল অফিসের কার্যক্রম শুরু করল সোনালী ব্যাংক
অভ্যন্তরীণ অনিয়ম, দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযোগ জানাতে পারবেন। এ লক্ষ্যে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংকটি হুইসেলব্লোয়ার'স বা ন্যায়পাল অফিসের কার্যক্রম শুরু করল।
রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী।
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম কামরুল ইসলামকে ন্যায়পাল হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাকে সহায়তা করবেন ব্যাংকের চিফ অডিট অফিসার এবং জেনারেল ম্যানেজার সমপর্যায়ের দু'জন কর্মকর্তা।
হুইসেলব্লোয়ার'স প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির ক্ষেত্রে অনেক সময় নিচের দিকের কর্মকর্তারা উপরের পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তথ্য দিতে ভয় পায়'।
'এখন থেকে তারা ন্যায়পালের কাছে যে কোন অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বড় সুবিধা হচ্ছে অভিযোগকারীর নাম গোপন রাখা হবে। তাতে তাদের মধ্যে আর ভয় কাজ করবে না। এমনকি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধেও তার অধস্তনরা ন্যায়পালের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন'।
ন্যায়পাল ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে সোনালী ব্যাংকের নারী কর্মীরা আগের চেয়ে আরো বেশি সুরক্ষিত থাকবেন। যে কোন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হলে তারা ন্যায়পালের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন বলে জানান চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, পুরুষ কর্মী দ্বারা হয়রানির শিকার হলে দ্বিধাদ্বন্দ্ব না করে নারী কর্মীদের উচিত হবে ন্যায়পালে কাছে জানানো।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় এক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার পর গেল ১৬ মার্চ সোনালী ব্যাংক, কর্মীদের নারী-পুরুষদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে দেশের সবগুলো শাখায় চিঠি দিয়েছে।
ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আরো জানান, ন্যায়পালের কাছে যেসব অভিযোগ জমা পড়বে, সেগুলো যাচাই বাছাই করে তদন্ত করে, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করবে ন্যায়পাল। সে অনুযায়ী প্রশাসন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।
সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই ন্যায়পাল ব্যবস্থাকে বিরাট মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এই ব্যবস্থা শুধুমাত্র সোনালী ব্যাংকে কর্মরত কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বাইরে কোন গ্রাহক বা ব্যক্তির অভিযোগ দায়েরের ক্ষেত্রে আলাদা অভিযোগ সেল আছে।