চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য ট্রায়াল রান শুরু করবে ভারত
আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার শুরুর আগে আগামী আগস্ট মাস থেকে ট্রায়াল রান পরিচালনা করবে ভারত।
নৌ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রস্তাবে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা বন্দরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পিটিআই রোববার (২৯ জুলাই) জানিয়েছে, মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত ১৩তম ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট গ্রুপ অব কাস্টমসের (জেএসসি) বৈঠকের পর ট্রায়াল রান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০১৮ সালে স্বাক্ষরিত 'অ্যাগ্রিমেন্ট অন দ্য ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অব গুডস ফ্রম ইন্ডিয়া (এসিএমপি)' নামের এই চুক্তির ফলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে, উভয় পক্ষই লাভবান হবে বলে বিশ্বাস দুই দেশের।
বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বিনিত কুমার বলেন, "আমাদের ট্রায়াল রান করতে বলা হয়েছে, ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।"
চুক্তির আওতাধীন চারটি রুট হলো মংলা-তামাবিল, তামাবিল-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-শেওলা এবং মংলা-বিবিরবাজার।
"মংলা-তামাবিল এবং মংলা-বিবিরবাজার (কুমিল্লার স্থলবন্দর) রুটে ট্রায়াল চালানোর জন্য ট্রানজিট কারগো ৩০ জুলাই কলকাতা থেকে ছেড়ে যাবে," বলেন ওই কর্মকর্তা।
ভারত চারটি রুটে ট্রায়াল রানের প্রস্তাব দিয়েছিল। সিলেটের শ্যাওলা ও কুমিল্লার বিবিরবাজার স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধার অভাব থাকায় এবং সংযোগ রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় আপাতত এ দুটি স্থলবন্দর দিয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট দিতে রাজি নয় বলে গত ২৫ জুলাই জানিয়েছিল বাংলাদেশ।
ট্রায়াল রানের জন্য কলকাতা বন্দরের সাথে সহযোগী হিসেবে কাজ করবে মায়েরস্ক লাইন ইন্ডিয়া।
এর আগে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রথম ট্রায়াল রান অনুষ্ঠিত হয় ২০২০ সালের জুলাই মাসে। সেবার কলকাতা বন্দর থেকে পণ্যবাহী (রড ও ডাল) জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে স্থলপথে আগরতলায় পণ্য নেওয়া হয়েছিল। করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন জটিলতায় চুক্তির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
গত ১৯ জুলাই নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ট্রায়াল রানের পর চুক্তি কার্যকরের আগে নতুনভাবে ফি ও শুল্কহার নির্ধারণ করা হবে।