বৈশ্বিক অভিঘাত মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণ করছে অর্থ মন্ত্রণালয়
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির মন্থর দশা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাত প্রশমনে– সময়মতো মেগা-প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন, উন্নয়নকাজে আরও বেশি সরকারি-বেসরকারি (পিপিপি) সম্পৃক্ততা এবং রপ্তানিকারকদের নতুন বাজার ধরতে সহযোগিতা দেওয়ার মতো বিষয়– সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে।
উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখতেও। এর মধ্যে রয়েছে– বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা, কর প্রশাসনে সংস্কার ও সহজে ব্যবসা পরিচালনা আরও উন্নত করার লক্ষ্যে নানান পদক্ষেপ।
'আর্থসামাজিক অগ্রগতি ও বাংলাদেশে সামষ্টিক-অর্থনীতির সাম্প্রতিক ঘটনাবলী'- শীর্ষক অর্থমন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন সূত্রে এসব কথা জানা গেছে। প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
উচ্চ বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি এবং উৎপাদন সংকোচনের মতো নেতিবাচক পরিস্থিতির প্রভাব বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই খাত– রেমিট্যান্স ও রপ্তানি খাতের ওপর ছড়িয়ে পড়বে এমন শঙ্কা যখন দেখা দিয়েছে— তখনই এ পরিকল্পনা নেওয়া হলো।
দেশের চাপের মুখে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ এবং লাগামহীন মূল্যস্ফীতির প্রবৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরাও। তাৎক্ষনিক অভিঘাত মোকাবিলায় তারাও পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই- আগস্টে) সম্ভাবনাময় প্রবৃদ্ধি অর্জন হলেও– বাকিটা সময় বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্থর হয়ে পড়ায় দেশের রপ্তানি খাত বাকিটা সময় এই গতি ধরে রাখতে পারবে না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে সতর্ক করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বিশেষত– এই এরমধ্যেই বিশ্বের শীর্ষ তিন অর্থনীতি– যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরো জোন অর্থনীতির বিকাশ গতি হারিয়েছে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিচালক ড. এম এ রাজ্জাক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি বড় ধরনের 'স্লো ডাউনে' যাচ্ছে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন যে, এবারের মন্দা ২০৩০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি ও রেমিট্যান্স– উভয়ই কমে যাবে। এতে আমাদের বাহ্যিক খাতে চাপ বাড়বে।
'তবে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে– আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য যে হারে বেড়েছে, মন্দার কারণে তাও কমে আসবে। তা সত্ত্বেও রপ্তানি ও রেমিট্যান্স উল্লেখযোগ্যভাবে কমার কারণে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ঘাটতি কিছুটা সহনীয় হলেও– বাংলাদেশের ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভের ওপর চাপ অব্যাহত থাকবে। এজন্য আমাদের সাবধান হতে হবে'- জানান তিনি।
এই পরিস্থিতিতে দেশের রপ্তানিকারকদের অদম্যতার ওপর আস্থা রাখছে অর্থমন্ত্রণালয়, পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে কিছু সাফল্য এবং মেগা-প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের অগ্রগতি– আগামীতে প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হবে বলে আশা করছে।
তবে চলতি হিসাবের সন্তোষজনক ব্যালান্স, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ এবং মূল্যস্ফীতিকে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে রাখার মতো কিছু চ্যালেঞ্জের সমাধান– সরকারের স্বল্প-মেয়াদি অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে খাদ্য, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের আমদানি খরচ বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কমে যাওয়াসহ সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির নানান দিকে আলোকপাত করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
দেশের শীর্ষ নীতিনির্ধারকদের কাছে পাঠানো প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, এতে দেশের বৈদেশিক ঋণ পরিস্থিতি এবং জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর অর্থনীতিতে তার প্রভাব নিরূপণ করা হয়েছে।
'প্রথম অগ্রাধিকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, রাজস্ব নয়'
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রধান কৌশল হলো– চাহিদার প্রবৃদ্ধি কমিয়ে সরবরাহ বৃদ্ধি করা।
অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজস্ব আদায়ে সাফল্য, মাথাপিছু আয়ের প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি, পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়াসহ অন্যান্য মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি—কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাত থেকে শক্তিশালী পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করবে এবং তা চলমান বৈশ্বিক প্রতিকূলতাগুলি মোকাবিলায় সহায়ক হবে।
যুদ্ধ কতদিন ধরে চালবে তার ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব। এই সংঘাতের বহুপক্ষের সম্পৃক্ততা এবং রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে।
'তবে, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলার মতো অদম্যতা রয়েছে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের। সরকারের সমর্থনে এরমধ্যেই তারা রপ্তানি ঝুড়িতে বৈচিত্র্য আনাসহ বাংলাদেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানির– নতুন ও অপ্রচলিত বাজার অনুসন্ধানের চেষ্টা করছেন'- প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে–আরও রাজস্ব অর্জনের জন্য রাজস্ব প্রশাসনের বর্ধিত স্বয়ংক্রিয়করণ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে প্রবৃদ্ধির গতি বাড়ানোর জন্য কর আইনের আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, সরকার কর আইনে বিদ্যমান ত্রুটি এবং ফাঁকফোঁকরগুলি দূর করতে রাজস্ব সংগ্রহের কৌশল নতুন করে ডিজাইন করছে, যাতে মধ্যমেয়াদে বিনিয়োগ ও ব্যয় পরিকল্পনাকে সমর্থন দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত রাজস্ব তৈরি করা যায়।
২০২৬ সালেই স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ হওয়ার কথা বাংলাদেশের, এজন্য জাতীয় শুল্ক নীতি এবং রাজস্ব প্রশাসন উভয়ই রূপান্তরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, 'কর সংগ্রহে দক্ষতা আনয়নে, ত্রুটিগুলি দূর করতে এবং কর জাল সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কর ব্যয় সমীক্ষা পরিচালনা করার জন্য আইএমএফের সহায়তায় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে'।
'মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হবে'
ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন অবশ্য বলছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেই জোর দেওয়া উচিত।
'রেভিনিউ (রাজস্ব) সেক্টরের সমস্যা সবার জানা। তাই সেখানে সংস্কার আনতে নতুন করে স্টাডি করার প্রয়োজন নেই। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে জরুরি ছিল ঋণের সুদহার বাড়ানো, কিন্তু সরকার তা করছে না'।
তিনি আরও বলেন, রপ্তানির উপর চাপ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তবে গত বছর প্রায় ৬ লাখ এবং এবছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ শ্রমিক বিদেশে যাওয়ায় রেমিট্যান্সের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা কম।
তবে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে (ফরেক্স এক্সচেঞ্জে) অস্থিরতার কারণে চলতি সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স কমছে বলে মনে করছেন।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন,ফরেক্সে স্থিতিশীলতা আনতে সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছিল, তার মধ্যে শুধু আমদানি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু, এখনও ব্যাংকগুলোর চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। গত মাসে ৩২০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তিনি বলেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অর্থ বিভাগ সেসব বিষয়ে জোর দেওয়ার কথা বলেছে, সেগুলো মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদের জন্য ভালো। কিন্তু, বর্তমান সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য এখানে বিশেষ কোনো উদ্যোগের কথা বলা নেই।
২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ইতিহাস সর্বোচ্চ সাড়ে ১৮.৭ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি হয়েছে। সার্বিক ব্যালান্সের ঘাটতিও হয় রেকর্ড পরিমাণে ৫.৪ বিলিয়ন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নেমে এসেছে ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে।
এর ফলে অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টি হয়– দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার ব্যবস্থাপনায় ।
অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'এজন্য আগাম সতর্কতার উদ্যোগ হিসেবে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ইত্যাদি উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে ঋণ চাইছে বাংলাদেশ'।
মূল্যস্ফীতি, ব্যবসার পরিবেশ
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ রয়েছে, তবে সরকার তা মোকাবিলায় কাজ করছে।
বর্তমানে শুধু মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) মাধ্যমেই প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধাভোগীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
দেশের প্রায় ২৯ শতাংশ পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে, এবং অর্থ বিভাগ আশা করছে, আগামী পাঁচ বছরে এ বরাদ্দ দ্বিগুণ হবে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির প্রবণতা ঠেকাতে সরবরাহের দিকটি বাড়ানোর পাশাপাশি– একটি কার্যকর চাহিদা ব্যবস্থাপনার নীতিও প্রয়োজন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে– 'বাংলাদেশ মহামারি থেকে শক্তিশালী পুনরুদ্ধারে ফিরলেও, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এখনও দেখা যাচ্ছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি জনগণের জীবনযাত্রার মান ক্ষয় করে তাদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করেছে'।
উন্নয়ন প্রকল্পে বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ওপর সরকারের জোরদানের কথা তুলে ধরে, মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, পিপিপির অধীনে সূচনা করা ৩৮.৭৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ৭৭টি প্রকল্পের মধ্যে কেবল একটি বাস্তবায়িত হয়েছে এবং অন্য নয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উপরন্তু, উৎপাদনশীল বিনিয়োগ বাড়াতে– সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বন্দর, যোগাযোগ এবং আইসিটি খাতের ওপর বিশেষ জোর দিয়ে অর্থনীতির মূল প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার চেষ্টা করবে।
বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের সুবিধার্থে এবং বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করার জন্য– যখন ব্যবসা করার সহজতা উন্নত করতে এবং খরচ কমানোর জন্য সংস্কার শুরু করা হয়েছিল– তখন বিভিন্ন ফি ও চার্জ কমানো হয়েছে।
'রাজস্বে শৃঙ্খলা মানে ঋণের বোঝা কম থাকা'
বহুল আলোচিত বৈদেশিক ঋণের প্রসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার বাহ্যিক উৎস থেকে শুধু রেয়াতযোগ্য ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করে।
২০২১-২২ অর্থবছরে অর্থপ্রদানের সামগ্রিক ভারসাম্যে ঘাটতি প্রসারিত হলেও– সরকার একটি সাশ্রয়ী মূল্যের ও অনুকূল বাহ্যিক অর্থপ্রদানের ভারসাম্য বজায় রাখতে আগ্রহী।
দেনার টেকসইতা প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ দেনার টেকসইতা বিশ্লেষণ করে আইএমএফ ও আইডিএ। এতে উপসংহার টানা হয় যে, 'রাজস্ব শৃঙ্খলা বাংলাদেশকে ঋণ সংকটের কম ঝুঁকিতে রেখেছে।'
ওই মূল্যায়ন অনুসারে, ২০২০-২১ অর্থবছরের শেষে সরকারি দেনা ছিল জিডিপির ৪১.৪ শতাংশ, যা ২০৩০-৩১ এবং তারপরে ৪১.৮ শতাংশে স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া, বৈদেশিক ঋণের সাথে জিডিপি অনুপাত ২০৪১-৪২ অর্থবছরের মধ্যে ১১.৬ শতাংশে স্থির হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাহ্যিক ঋণ ছিল ৯৭.৫ শতাংশ, যা ২০৩১-৩২ অর্থবছর ও তারপরে ৯৩ শতাংশে স্থিতিশীল হবে এবং সেই সীমা ধরে রাখবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে উচ্চ ও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ব্যয়— এবং প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে সংস্কার আনার ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং দক্ষতার অমিল দূর হবে।