ট্যাক্স ফেয়ার হচ্ছে না এবারও
দেশব্যাপী করদাতাদের কাছে জনপ্রিয় হওয়া ট্যাক্স ফেয়ার হচ্ছে না চলতি বছরও। ২০২০ সালে কোভিডের কারণে বন্ধ হয় এটি; চলতি বছর কোভিডের তেমন প্রকোপ না থাকলেও ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ (এনবিআর) আর ওই পথে হাঁটছে না।
অবশ্য এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, ট্যাক্স ফেয়ার না হলেও পুরো নভেম্বর জুড়ে মেলার মতো সেবা দেওয়া হবে ট্যাক্স অফিসগুলোতে। এজন্য ট্যাক্স অফিসগুলোতে করদাতাদের জন্য আলাদা বুথ স্থাপন করে ট্যাক্স রিটার্ন জমা নেওয়া হবে।
ট্যাক্সপেয়ারদের মধ্যে আয়কর বিষয়ে সচেতনতা তৈরি এবং হয়রানিমুক্ত পরিবেশে ট্যাক্স প্রদানে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ট্যাক্স ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়। বছর বছর তা আরো বড় হতে থাকে এবং তা ঢাকা ছাড়িয়ে বিভাগীয় শহর, জেলা এমনকি উপজেলায়ও আয়োজন করা হয়।
হয়রানিমুক্ত পরিবেশে ট্যাক্স দেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় ট্যাক্সপেয়ারদের বড় অংশই ট্যাক্স ফেয়ারে গিয়ে তাদের ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেন।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে প্রায় ২২ লাখ ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়া হয়, যার মধ্যে আয়কর মেলায় সাড়ে ছয় লাখের বেশি করদাতা তাদের রিটার্ন সাবমিট করেন।
এনবিআরের ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, আয়কর মেলা না হলেও পুরো নভেম্বর জুড়ে ৩১টি ট্যাক্স জোন-এর সার্কেল অফিসগুলোতে আলাদা বুথ স্থাপন করে করদাতাদের আয়কর সংক্রান্ত সেবা দেওয়া হবে। এজন্য এনবিআর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এছাড়া অনলাইনেও রিটার্ন জমা দিতে পারবেন ট্যাক্সপেয়াররা।
আগামী ৩০ নভেম্বর দেশব্যাপী পালিত হবে ন্যাশনাল ট্যাক্স ডে। ওই দিনই জরিমানা ছাড়া ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরপর রিটার্ন জমা দিতে হলে করদাতাকে সুদ ও জরিমানা গুনতে হবে।
দেশে বর্তমানে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বরধারীর (টিআইএন) সংখ্যা ৮০ লাখের উপরে, যার মধ্যে গতবার রিটার্ন জমার পরিমাণ ছিলো প্রায় ২৫ লাখ।
চলতি বছর থেকে ৩৮ ধরণের সেবা নিতে টিআইএন থাকা ও ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়ার প্রমাণ দেখানো বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। ফলে চলতি বছর ট্যাক্স রিটার্ন জমার সংখ্যা ৫০ লাখের মতো হতে পারে বলে আশা করছেন ট্যাক্স কর্মকর্তারা।