মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতাদের সরাসরি রেমিট্যান্স আনার অনুমতি বাংলাদেশ ব্যাংকের
বিকাশ, রকেট ও উপায়ের মতো মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএসপি)-র মাধ্যমে সরাসরি রেমিট্যান্স আনার সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগ্রহী মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আয় প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে অনুমোদন চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে হবে।
এতদিন বিদেশি কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এনে ওই টাকা গ্রাহকের মনোনীত ব্যক্তির এমএফএস একাউন্টে পৌঁছে দিত তারা। এতে টাকা পেতে গ্রাহকের সময় বেশি লাগত। অনুমোদন পাওয়া সেবাদাতারা এখন থেকে সরাসরি রেমিট্যান্স আনতে পারবে এবং গ্রাহকও দ্রুত রেমিট্যান্সের টাকা পাবেন।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ। এতে বলা হয়, লাইসেন্সপ্রাপ্ত মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রবাসী আয় প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিদেশি অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডার, ব্যাংক, ডিজিটাল ওয়ালেট, কার্ড স্কিম ও এগ্রিগেটর পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে, মোবাইল আর্থিক সেবাদাতাদের বিদেশি সহযোগীদের সাথে কার্যকরী ব্যবস্থা থাকবে– যার মাধ্যমে তাদের একাউন্টে বৈদেশিক মুদ্রা আসবে এবং সেখান থেকে প্রবাসী গ্রাহকের মনোনীত মুঠোফোনের আর্থিক একাউন্টে তার মূল্য টাকায় প্রদান করবে।
বিদেশে কর্মরত প্রবাসীরা যথাযথা ই-কেওয়াইসি পরিপালন করে মোবাইল ব্যাংকিং অর্থাৎ এমএফএসে হিসাব খুলতে পারবেন। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলি মুঠোফোনের আর্থিক সেবাদাতাদের একাউন্টে লেনদেন নিষ্পত্তির সুবিধা দিতে পারবে। এজন্য নির্দিষ্ট ব্যাংকগুলির বিদেশস্থ নস্ট্রো হিসাবে অর্থ জমার পর উক্ত অর্থের সমপরিমাণ টাকা সেটেলমেন্ট হিসাবে জমা হবে।
'নস্ট্রো একাউন্ট' হলো বৈদেশিক মুদ্রায় দায়-দেনা পরিশোধের জন্য বিদেশের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর একাউন্ট। এই একাউন্টের মাধ্যমে গ্রাহকের পক্ষে বিদেশি ব্যাংকের একাউন্টে সংশ্লিষ্ট এলসির পেমেন্ট দেওয়া হয়। আবার রপ্তানি বিল ও রেমিট্যান্সের আয়ও নস্ট্রো একাউন্টে যোগ হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই উদ্যোগ রেমিট্যান্স দেশে আনার প্রক্রিয়া সহজ করবে। বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতাদের এটি সমর্থন দেবে হবে এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রবাসী আয় প্রত্যাবাসন বা হুন্ডি বন্ধ করতে সহায়তা করবে।