এখন থেকে ইসলামী ব্যাংকগুলোও পাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটি
ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলো এখন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১৪ দিনের শর্ট টার্মে লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটি পাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেবট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ডিএমডি) সোমবার (৫ ডিসেম্বর) এক সার্কুলারের মাধ্যমে 'ইসলামী ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটি (আইবিএলএফ)' নামে এই নিয়ম চালু করেছে।
বর্তমানে ১০টি ব্যাংক ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক চলে। ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর তারল্য ব্যবস্থাপনার স্বার্থে এবং ইসলামিক আর্থিক ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে এ ফ্যাসিলিটি প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো প্রতি কার্যদিবসেই নিয়মিতভাবে এ সুবিধা নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।
৩ মাস মেয়াদী মুদারাবা টার্ম ডিপোজিট রেট অনুযায়ী এই লিকুইডিটির প্রফিট শেয়ারিং হবে। ব্যাংকগুলো ন্যূনতম ১ কোটি টাকা পেতে আবেদন করতে পারবে।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, "১৪ দিনের জন্য তারল্য সহায়তা ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য একটি বড় সুযোগ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"
তিনি আরো বলেন, এ সুবিধা গ্রহণ করে ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে সক্ষম হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "ইসলামী ব্যাংকগুলোকে এ সুবিধা দেওয়ার সময় সিকিউরিটিজ হিসাবে দায়মুক্ত বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট সুকুক (বিজিআইএস) বন্ড রাখবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আইবিএলএফ-এর জামানত হিসেবে ব্যবহৃত বিজিআইএস থেকে ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো অন্তর্বর্তীকালীন মুনাফা (যদি থাকে) পাবে।"
"রেপোর মাধ্যমে প্রচলিত ব্যাংকগুলোকে যে তারল্য সুবিধা প্রদান করা হয়, তা গ্রহণ করার সুযোগ এতদিন ছিল না ইসলামী ব্যাংকগুলোর," বলেন তিনি।
তারল্য সহায়তার পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিলাম কমিটি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে এবং আবেদনকারী ব্যাংকগুলো তাদের তারল্য চাহিদা সম্পর্কে জানানোর পরে এ পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।