বোরো মৌসুমের শুরু যেন কৃষকের জয়যাত্রার গাথা…
আসন্ন খাদ্য সংকট নিয়ে বিশ্বব্যাপী যখন চরম উৎকণ্ঠা, সে খবর দ্রুতই পেয়ে যান- রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোলাই গ্রামের কৃষক তারেক বিন মাহতাব। গতবছর তিনি ৭ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করলেও, এবছর করবেন ১০ বিঘা জমিতে।
'এবছরই প্রথম উচুঁ ডাঙ্গার জমিতে সরিষার চাষাবাদ করেছিলাম। যেসব জমি থেকে ইতিমধ্যে সরিষা তোলা হয়েছে, সেখানে সরিষার ফলন ভালো হয়েছে '- বলেন তিনি।
ফসল চাষে বৈচিত্র্য থাকলে ন্যায্যমূল্য পাওয়া যায়, তাছাড়া চালের দামও আগের চেয়ে বেশি।
৪ শতক জমিতে বেগুন আর শীতকালীন সবজির চাষ করেছেন নওগাঁ সদরের ভীমপুর গ্রামের বাসিন্দা মোকাব্বর আলী।
এই কৃষক বলেন, 'জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষের পরিকল্পনা করছি। খাবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে বাড়ির উঠানজুড়ে এখন বিভিন্ন সবজির চাষ করব। একইসাথে ৩ জোড়া ষাঁড় পালনেরও চেষ্টা করছি। অন্য কৃষকরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা নিয়ে এগিয়ে এলে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবে'।
তবে বোরো আবাদেই বেশি মনোযোগ তার, যা দেশের মোট ধান উৎপাদনের ৫৫ শতাংশের বেশি।
ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সব সময়েই সম্মুখসারির যোদ্ধা ছিলেন বাংলাদেশের কৃষকরা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের এক বছর পর- শীর্ষ অর্থনীতিবিদদের এক সম্মেলন শেষে ক্যামব্রিজের অর্থনীতিবিদ অস্টিন রবিনসন- সদ্য স্বাধীন এ ভূখণ্ডের চরম দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেন। যখন সম্পদ ছিল অপ্রতুল, আর ক্ষুধার জ্বালায় বিপন্ন ছিল মানুষ। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ বর্তমানে ম্যালথুসিয়ান স্থবিরতার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত'।
এর এক বছর পরেই দেশজুড়ে তাণ্ডব চালায় বন্যা, তারপর দেখা দেয় দুর্ভিক্ষ।
তবুও বাংলাদেশ টিকতে পেরেছিল। আর সে কৃতিত্ব কঠোর পরিশ্রমী কৃষকদের। তারা খাদ্য উৎপাদনের গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন, চাষযোগ্য এক ইঞ্চি জমিও আর অনাবাদি রাখেননি।
এই শিক্ষাটা আরও কয়েক দশক পর যখন বিশ্বব্যাপী মহামারি আঘাত হানে, তখনও ভোলেননি কৃষকরা। তাইতো এসময়েও দেশে খাদ্য উৎপাদন বন্ধ হয়নি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাত, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্য, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের দৈন্যদশার মতো নানাবিধ সমস্যা মোকাবিলায় এখন টালমাটাল দশা বাংলাদেশের। এরমধ্যেও নিজেদের অনন্য দক্ষতা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন কৃষকরা।
টেকসইতার সন্ধানে
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার উপজেলার কৃষক মিজানুর রহমান, ব্যস্ত সময় পার করছেন নিজ জমিতে লাগানো ধান, ভুট্টা, সবজি, সরিষা, আলুর ফসলের পরিচর্যায়।
মিজানুরের জমির পরিমাণ ৫০ বিঘা। বাজারে কৃষিপণ্যের উচ্চ দাম একসাথে নানাবিধ ফসল উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করেছে তাকে।
ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, 'প্রতিবছর বিভিন্ন কৃষি পণ্যের দাম উঠানামা করে। ফলে এক ধরনের ফসল ফলিয়ে কৃষি ও সাংসারিক ব্যয় মেটানো কঠিন'।
তাই আরও লাখ লাখ কৃষকের মতোন মিজানুর শুধু ধান চাষই করছেন না। দেশের কৃষিখাতের বেশিরভাগই হলেন ছোট কৃষক, যারা এখন পরিবারের খাদ্য চাহিদা পূরণে নানাবিধ ফসল ফলানোর মাধ্যমে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করছেন।
কোভিড-১৯ মহামারির কথাও তারা ভোলেননি। সেসময় শহরে থাকা তাদের অনেক আত্মীয় গ্রামে ফিরে আসতে বাধ্য হন। তাই উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প দেখেন না তারা।
এছাড়া নতুন করেও অনেকে কৃষিকাজে উদ্যোগী হচ্ছেন, জোর দিচ্ছেন খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে।
সহজে কৃষি ঋণ, জমির ব্যবহারও বাড়াচ্ছে
সহজ শর্তেই পাওয়া যাচ্ছে সরকারি কৃষি ঋণ। ফলে পতিত জমিতেও এখন চাষ হচ্ছে।
সরিষা ফসল তোলার পরেই বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয়। এবছর আরও বেশি জমিতে বোরো আবাদ করছেন কৃষকরা।
বোরো ফসল দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে। দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা বগুড়ায় এবার এক লাখ ৮৬ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হচ্ছে।
ধানের পাশাপাশি জেলায় এবার উল্লেখযোগ্য হারে সরিষার আবার বেড়েছে। গত বছর ২৭ হাজার ৬১৭ হেক্টর জমিতে চাষ হলেও, এবার হচ্ছে ৩৭ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে।
বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) এনামুল হক বলেন, সময় এখন উৎপাদনের, কৃষিপণ্যে স্বনির্ভর হওয়ার। ভোজ্যতেলের ঘাটতি পূরণে অবদান রাখবে সরিষার চাষ বৃদ্ধি। বগুড়ায় ৬৮৭ হেক্টর আবাদযোগ্য পতিত জমি ছিল। এর মধ্যে গত ছয় মাসে ২৯৭ হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
'আগামী ৬ মাসের মধ্যে জেলায় আবাদযোগ্য কোনো পতিত জমি থাকবে না। সবগুলো চাষের আওতায় নিয়ে আসা হবে। কৃষি ঋণ আরও বাড়ানো গেলে কৃষকরা আরও আগ্রহী হবে'।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, বোরোর উৎপাদন পুরোপুরি উপকরণ নির্ভর। ভালো উৎপাদনের পূর্বশর্ত পর্যাপ্ত সার সরবরাহ, ভালো বীজ, ডিজেল ও বিদ্যুতের সরবরাহ।
'এবারে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য এই বিষয়গুলোতে বাড়তি নজর দিয়ে সমন্বয় করা হচ্ছে। অধিদপ্তরের কাছে আগামী জুন পর্যন্ত সারের মজুত আছে। আগামী জুন মাস পর্যন্ত যাতে সারের কোন সংকট তৈরি না হয় সে পরিমাণ মজুদ আমরা তৈরি করেছি। এটা নিয়ে কোন সংকট নেই। ফলন বাড়ানোর জন্য আরও বেশি উচ্চ ফলনশীল জাতের বোরো ধান লাগাচ্ছেন কৃষকরা। গত বছর ১৩ লাখ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড বীজ চাষ হয়েছিল, এবারে সেটা ১৪ লাখ হেক্টরে করা হয়েছে। সেচনির্ভর এই মওসুমে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এবং জ্বালানির যোগান দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। একইসঙ্গে, পানির অপচয় কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনার কাজ চলছে' বলেন তিনি।
এবছর বোরো মওসুমে ৪৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৪৮ লাখ ৭২ হাজার হেক্টর। গত বোরো মৌসুমে চাল উৎপাদন হয়েছিল দুই কোটি দুই লাখ টন। চলতি মওসুমে দুই কোটি ১৫ লাখ টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
এসব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে, কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় উপকরণ দিচ্ছে।
কোনো জমি অনাবাদি নেই
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম আহম্মেদ জানান, উপজেলায় ৫৫ হাজার কৃষক রয়েছেন। এখানকার সব জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশমতো আমরা এক কাঠা জমিও অনাবাদি রাখিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, জেলায় একই জমি থেকে বছরে কমপক্ষে তিনটি শস্য উৎপাদন হয়। ফলে রাজশাহীতে সব সময় শস্য উদ্বৃত্ত থাকে। ফলে খাদ্য সংকটে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
ব্যাংকগুলো থেকে পর্যায়ক্রমে কৃষি ঋণ দেওয়া হয় কৃষকদের। কৃষি কর্মকর্তারা কৃষক পরিবারগুলোর কাছে গিয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন।
খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়া ও চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণেও আগের তুলনায় বেশি পরিমাণে খাদ্যপণ্য উৎপাদনে মনোযোগী হচ্ছে কৃষক।
মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা কিছু বড় চরেও এবার প্রথমবারের মতো চাষাবাদ হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর জেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০০ হেক্টর অনাবাদি ও পতিত ভূমিকে চাষের আওতায় আনা হয়েছে।
তবে চাষের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ এখনও একটি বড় উদ্বেগ।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, করোনা মহামারির পর পরই রাশিয়া ইউক্রেন-যুদ্ধের কারণে খাদ্য উৎপাদন এক সংকটের মধ্যে পড়ে। ডিজেল, সার, বিদ্যুৎ, কৃষি শ্রমিক সবকিছুর খরচ ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
'এবছর বিঘাপ্রতি ধানের উৎপাদন খরচ বেড়েছে ১,২০০-১,৩০০ টাকা, কিছুক্ষেত্রে আরও বেশি হতে পারে। বাড়তি খরচ করে, কৃষক যদি যদি ধানের বাড়তি দাম না পায়- তাহলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্য পায় এখন থেকেই তার পরিকল্পনা করতে হবে'- যোগ করেন তিনি।
কৃষকদের আরও ঋণও দরকার।
বোরো মওসুমকে সামনে রেখে গত ১৭ নভেম্বর পাঁচ হাজার কোটি টাকার কৃষি ঋণের পুনঃঅর্থায়ন স্কিম ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যার সুদহার ৪ শতাংশ।
কিন্তু, এটা কী কৃষকদের সাহায্য করছে?
নগদের ঘাটতি
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের বগুড়ার (উত্তর) আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক শাহিনুর ইসলাম বলেন, গত বছর আমাদের শাখা থেকে ২২০ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করা হয়। এবার সেখানে ৩০২ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। কৃষিঋণ আদায়ের পরিমাণও ভালো।
আগে লক্ষ্মীপুরে দেড় লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হতো। কিনত, কৃষকের কাছে পর্যাপ্ত পুঁজি না থাকায় অনাবাদি থাকতো আরও কয়েক হাজার হেক্টর জমি।
জেলা ঋণ বিতরণ কমিটির সদস্য এবং কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, চলতি সপ্তাহে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি সভা হয়েছে। এতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কৃষকদের মধ্যে সহজে ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের সমন্বয়ে একটি মেলার আয়োজন করা হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার টিবিএসকে বলেন, 'কৃষিঋণ বিতরণের পরিস্থিতিতে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। একেবারেই যে পাওয়া যেত না, সেটা আস্তে আস্তে পরিবর্তন হচ্ছে। কৃষিঋণ বিতরণ বাড়ানোর জন্য আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে বলেছি, সারা দেশের ডিসিদেরকে এটা মনিটর করতে অনুরোধ করা হয়েছে। নরসিংদি, সিরাজগঞ্জের মত কয়েকটি জেলার ডিসিরা সেই মতো কৃষকদের জন্য ঋণ মেলার আয়োজন করছেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক যাদের কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বিতরণ কম, তাদের ঋণটা যাদের বিতরণ বেশি- তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দিচ্ছে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, কৃষকের ঋণ পাওয়া নিয়ে সমস্যাটা পুরনো। এখনো সেভাবে সমাধান হয়নি। তার সঙ্গে বেড়েছে উৎপাদন খরচ। 'এটা কমানোর জন্য ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম কৃষক পর্যায়ে কমানোর চিন্তা করতে হবে। কারণ, বোরো মওসুম শুরু হয়ে গেছে। দাম কমাতে না পারলেও তাদেরকে নগদ সহায়তা দিয়ে খরচটা কমিয়ে আনতে হবে'।
পানির জন্য অপেক্ষা
জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার কৃষক বজলুর রশিদ। বোরো মওসুম শুরু হওয়ায় নিজের ও আশেপাশের অন্যদের জমি সেচে বিদ্যুৎচালিত পাম্প ব্যবহার করছেন তিনি।
দিনের বেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সমস্যা হলেও, রাত ১০টার পর পাম্প চালিয়ে সেচ দিতে পারছেন।
তিনি জানান, মাটিতে এখনও আদ্রতা থাকায় পানির চাহিদা এখন কম, কিন্তু আগামী কয়েক সপ্তাহে আরও বেশি পানির প্রয়োজন হবে।
'রাতেও যদি বিদ্যুৎ বিভ্রাট বেড়ে যায়, তাহলে সেচকাজ বাধাগ্রস্ত হবে' বলেন তিনি।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের তথ্যমতে, বোরো মওসুমে ১৫ লাখের বেশি ডিজেল ও বিদ্যুৎচালিত পাম্প সেচকাজে ব্যবহার করা হয়। এরমধ্যে চার লাখ ৬৫ হাজার ৪৫৯টি বিদ্যুতে চলে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বোরো মওসুম। গত বোরো মওসুমে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৯৭ মেগাওয়াট, চলতি বছরে তা ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট হতে পারে।
মন্ত্রণালয় সাম্প্রতিক এক সভায় পিক আওয়ার বা চাহিদার সর্বোচ্চ সময়ে সেচকাজে বিদ্যুৎ সরবরাহকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে অন্তত দুই মাসের জ্বালানি তেলের রিজার্ভ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এছাড়া, বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিস্থিতির উন্নয়নে গ্যাস, ফার্নেস অয়েল ও ডিজেলের মতো জ্বালানি সরবরাহ বাড়ানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
সেচকাজে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া, বিদ্যমান অন্যান্য কমিটির কার্যক্রম জোরালো করা হবে।
বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের ১৭০ কোটি টাকা প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এর আওতায়, ২৭ লাখ কৃষককে এক বিঘা করে জমি চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সার ও বীজ দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনটি প্রস্তুতে সহায়তা করেছেন আমাদের প্রতিনিধি- আওয়াল শেখ, আব্দুল কাদের, খোরশেদ আলম, বুলবুল হাবিব এবং সানাউল্লাহ সানু