রমজান উপলক্ষে সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল কিনছে টিসিবি
আসন্ন রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অভ বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও ৮ হাজার টন মসুর ডাল কিনছে সরকার।
বুধবার সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই দুটি ক্রয় প্রস্তাবসহ মোট ১৫টি প্রস্তাব পাস হয়েছে।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সভাপতিত্ব করেন। সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, মোট ১৯৪ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকায় উন্মুক্ত পদ্ধতিতে সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল কেনা হচ্ছে। প্রতি লিটার তেলের দাম পড়বে ১৭৬ টাকা ৮৮ পয়সা, যা আগের কেনাকাটার সময় ছিল ১৭৭ টাকা। মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারি তেল সরবরাহ করবে।
তিনি আরও জানান, মোট ৭৩ কোটি ২৯ লাখ ৩২০ টাকায় টিসিবির জন্য ৮ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব পাস হয়েছে। তুরস্কের একটি কোম্পানির স্থানীয় এজেন্টের কাছ থেকে কেনা হয়েছে এই মসুর ডাল। প্রতি কেজির দাম ধরা হয়েছে ৯১ টাকা ৬০ পয়সা করে।
রমজান সামনে রেখে টিসিবির সরবরাহ করা পণ্যের দাম কমানোর কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে কি না—জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, 'কমানোর সুযোগ নেই। প্রতি মাসেই টিসিবির জন্য পণ্য কিনতে হচ্ছে। রমজান সামনে রেখে একটু বেশি কিনতে হচ্ছে।'
সময় ভালো হলেই ফল আমদানি
আরেক প্রশ্নের জবাবে ভোক্তাদের ফলাহারের চাহিদা পূরণে আপাতত দেশীয় ফলমূলের ওপর ভরসা করতে পরামর্শ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আগামী মার্চের শেষ সপ্তাহে এবারের রমজান মাস শুরু হবে। রোজায় মাছ-মাংস, তেল-চিনির পাশাপাশি ফলমূলের চাহিদাও বেড়ে যায়।
তবে এই মুহূর্তে আমদানি নিয়ন্ত্রিত থাকার কারণে ফল আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে আসছেন।
রমজানে ফল আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে, এলসি (ঋণপত্র) খোলা যাচ্ছে না, ফলের দাম দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ফল আমদানিতে শুল্ক কমানো হবে কিনা—এমন প্রশ্ন করা হলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'ফল-তো দেশে প্রচুর হচ্ছে। এখন দেখতে হচ্ছে যাতে বৈদেশিল মুদ্রায় অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। এছাড়া দেশের ফলে মূল্য পাওয়া দরকার। যে জন্য এটি (এলসি) একটু রেসট্রিক্ট (সীমিত) করা হয়েছে। সময় ভালো হলেই খুলে দেয়া হবে।'
মন্ত্রী বলেন, 'এখন দরকার ডলার সেভ করা। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে যেটা অপরিহার্য, সেটিতেই বেশি জোর দেয়া হচ্ছে।'