১৮-৫০ বছরের সকল নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন
সর্বস্তরের নাগরিককে অবসর ভাতা সুবিধা দিতে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে সরকার।
গত ২৪ জানুয়ারি সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়। এর আওতায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে। যদিও, কর্তৃপক্ষের গঠন সম্পর্কে প্রজ্ঞাপনে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। তবে এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ এর আওতায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া ১৮-৫০ বছরের সকল নাগরিক পেনশন সুবিধা পাবেন। বিশেষ বিবেচনায় সুযোগ পাবেন পঞ্চাশোর্ধ্বরা।
এর আওতায়, ১৮-৫০ বছরের নাগরিকরা মাসিক ৫০০ টাকা চাঁদার বিপরীতে ৬০ বছর বয়সে মাসিক ৩৪ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। আর মাসিক এক হাজার টাকা চাঁদার বিপরীতে পাবেন ৬৪ হাজার টাকা। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও নিবন্ধনের মাধ্যমে পেনশন ব্যবস্থায় যুক্ত হতে পারবেন।
পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ ঐচ্ছিক, তবে চাইলে সরকার গ্যাজেট জারির মাধ্যমে একে বাধ্যতামূলক করতে পারে।
৬০ বছর থেকে আমৃত্যু পেনশন সুবিধা পেতে হলে অন্তত ১০ বছর চাঁদা দিতে হবে।
মাসিক সর্বনিম্ন চাঁদার হার কত হবে, তা নির্ধারণ করবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। পেনশনে থাকাকালে ৭৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে পেনশনার মারা গেলে অবশিষ্ট সময়কালের জন্য মাসিক পেনশন পাবেন তাঁর নমিনি।
আইন অনুযায়ী, ১৬ সদস্যের একটি পেনশন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হবে। এই কর্তৃপক্ষের সদস্যদের মধ্যে থাকবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতিসহ অন্যান্যরা। এই পর্ষদের চেয়ারম্যান হবেন অর্থমন্ত্রী।
পরিচালনা পর্ষদ বছরে অন্তত তিনটি বৈঠক করবে।