২৫০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা পেতে দ্রুত শর্ত বাস্তবায়নের পরামর্শ বিশ্বব্যাংকের
বাংলাদেশ সেকেন্ড রিকভারি অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট এর আওতায় বাজেট সাপোর্ট হিসেবে ২৫০ মিলিয়ন ডলার পেতে হলে শর্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এই ঋণচুক্তির আওতায় গত বছর মার্চে বাংলাদেশকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সাপোর্ট দিয়েছে সংস্থাটি।
ওই সময় ১২টি শর্ত দিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে বলেছিল সংস্থাটি। যার বেশিরভাগই এখনও চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়ন হয়নি।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অর্থ বিভাগের এডিশনাল সেক্রেটারি রেহানা পারভীনের সঙ্গে সভা করে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিল। সভায় শর্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, "চলমান ডলার সংকটের সময় এই বাজেট সহায়তার গুরুত্ব অনেক। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের বেশিরভাগ শর্ত বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। আমরা ঋণ পেতে শর্তগুলো বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দেবো।"
তিনি জানান, এই ঋণের জন্য বিশ্বব্যাংক যে ১২টি শর্ত দিয়েছিলো, তারমধ্যে কিছু শর্ত বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। যেমন- ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসির খসড়া ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। খসড়াটি চূড়ান্ত করার বিষয়ে খুব শিগগিরই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হবে।
বিশ্বব্যাংকের আরেকটি শর্ত ছিলো ইনকাম ট্যাক্সের ক্ষেত্রে অটোমেটেড চালান সিস্টেম চালু করা। ইতোমধ্যে এনবিআর তা কার্যকর করেছে।
এছাড়া, শর্ত অনুযায়ী ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও তার দেওয়া ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের শর্তে এ আইন সংশোধনের শর্ত দিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের শর্তগুলোর মধ্যে আরো রয়েছে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি গঠন করা। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে বলে জানান অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা।
বিশ্বব্যাংকের শর্তানুযায়ী, ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেইজ প্রণয়নে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। পাওয়ার ট্রান্সমিশন খাতে পিপিপি চালুর বিষয়েও সার্কুলার জারি করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
তবে সামাজিক সুরক্ষার পুনঃশ্রেণিকরণ তালিকা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্পোরেট গভর্ন্যান্সকে জোরদার করার জন্য সার্কুলার জারি এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা গ্রহণের মতো কিছু শর্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এখনো কোনো অগ্রগতি নেই।