আর্থিক সংকটের এই সময়ে সরকার আগামী বাজেটে কীভাবে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী বাড়াবে
গত তিন বছরে উদার প্রণোদনামূলক ঋণ, ভর্তুকি ও সহায়তার মাধ্যমে ব্যবসাবাণিজ্য ও সাধারণ মানুষকে করোনা মহামারির অভিঘাত থেকে উত্তরণে মনোযোগ দেওয়া হলেও, আগামী অর্থবছরের বাজেটের আর্থিক পরিকল্পনা হবে আরো চ্যালেঞ্জিং।
এরমধ্যেই বাজেট প্রণয়নের কাজ করছেন আর্থিক পরিকল্পনাকারীরা। তাদের সামনে এখন প্রধান প্রতিপক্ষ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে দেখা দেওয়া মূল্যস্ফীতি। তারসঙ্গে বারবার জ্বালানি মূল্য বাড়ানোর আঘাত থেকে জনগণকে যেন রক্ষা করা যায়– সেজন্য সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীও সম্প্রসারণ করতে হবে।
তাদেরকে শিল্পখাতকে সহায়তা দিতে হবে, যা এখন উচ্চ উৎপাদন খরচের আঘাতে জর্জরিত। ডলার সংকট আরো গভীর যেন না হয় সে চেষ্টাও করতে হবে। এছাড়া, স্থানীয় ও রপ্তানি বাজারের জন্য নিশ্চিত করতে হবে অব্যাহত উৎপাদন কার্যক্রম।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-কে দেওয়া সময়নিষ্ঠ সংস্কারগুলো বাস্তবায়নের বিবেচনায় আগামী বাজেট এমন পরিকল্পনা রেখে প্রণয়ন করা তাদের জন্য বেশ কঠিনই হবে।
আমদানি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডলার সাশ্রয় করে আইএমএফ এর প্রত্যাশিত পর্যায়ে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিলে – কাস্টমস বা আবগারি শুল্ক থেকে সরকারের আয় কমবে, রাজস্বের সাম্প্রতিক তথ্যেও যার প্রতিফলন দেখা গেছে। এই ঘাটতি পূরণ করে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট অর্থায়নে বাড়াতে হবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয় ধরনের কর। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতেও বরাদ্দ বাড়াতে হবে জনগণের উপর দফায় দফায় গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর 'পাস থ্রু' প্রভাব লাঘবে।
ফলে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলে ভর্তুকি পর্যায়ক্রমে বন্ধের উদ্যোগ সাময়িক স্বস্তি দিলেও, আগামী ১ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে যে বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করবেন, তা প্রণয়নে আসুরিক প্রচেষ্টাই করতে হবে আর্থিক পরিকল্পনাকারীদের।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে উৎপাদন বাড়ানো, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণ এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ চক্র ব্যবস্থাপনায় জোর দেওয়া হবে।
তবে ভর্তুকি কমিয়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বোঝা জনগণের ওপরই পার করা হবে।
এটা চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নতর চিত্র হবে, যেখানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও কৃষির মতো খাতে ভর্তুকি বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা রয়েছে সরকারের। তবে সরকার ভর্তুকি বাড়ানোর পরও চলতি অর্থবছরে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির কবলে পড়েন ভোক্তারা।
আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ভর্তুকির চাহিদা বেড়ে বাজেট বরাদ্দের দ্বিগুণ হয়েছে। এরকম অবস্থায় আইএমএফ'র ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার শর্ত পূরণে দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে সরকার। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে আইএমএফ এর ফ্লোর মেনে চলতে আমদানি আরও নিয়ন্ত্রণ করা এবং মুদ্রা বিনিময় হার বা এক্সচেঞ্জ রেট খোলাবাজারের ওপর ছেড়ে দিলে– নতুন অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা।
ডলারের দর বাজারের ওপর ছেড়ে দিলে 'প্রাইস শক' আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। তিনি টিবিএসকে বলেন, গত তিন মাসে বিদ্যুতের দাম প্রায় ১৬ শতাংশ বাড়ানো হলো, যার প্রভাবও আগামী দিনগুলোতে মূল্যস্ফীতি উস্কে দেবে। ভর্তুকি হ্রাস করা হলে এবং ডলার সংকট দূর না হলে – আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য কমলেও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমার সম্ভাবনা নেই।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আগামী অর্থবছরের বাজেট পরিকল্পনায় – উৎপাদন ও যোগান বাড়ানো এবং চাহিদা কমানোর উপর জোর দিয়ে আগামী অর্থবছরও সরকারকে ব্যয় সাশ্রয়ী নীতি বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন তিনি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন খাতের অংশীজনদের সঙ্গে বাজেট আলোচনা শুরু করেছে। আলোচনায় ব্যবসায়ীরা গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে ব্যবসার প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমেছে বলে জানিয়েছেন। এই বাস্তবতায়, ব্যবসার সক্ষমতা বাড়াতে কর না বাড়ানোর অনুরোধ করেন তারা। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমানোর প্রস্তাব করেছেন।
সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ?
বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা টিবিএসকে জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৪ সালের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটই শেষ বাজেট। তাই মূল্যস্ফীতি রুখতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়িয়ে দরিদ্রদের কিছুটা স্বস্তি দেওয়া এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বাড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করার মাধ্যমে মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাজেট প্রণয়ন হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য কমে আসাকে আশার আলো হিসেবে মনে করছেন কর্মকর্তারা। সব মিলিয়ে নতুন বাজেটে অর্থবছর গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ প্রাক্কলন করছেন তারা। যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ৭.৫ শতাংশের চেয়ে কম, তবে মূল বাজেটের ৫.৬ শতাংশ প্রাক্কলনের চেয়ে উচ্চ।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে – সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সারে চাহিদা অনুযায়ী ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে সেচকাজে ব্যবহৃত ডিজেলে ভর্তুকি দেওয়া হবে কি-না, সে বিষয়ে আগামী মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ন করা খুবেই চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করেন অর্থ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদও। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, 'গতবার (চলতি অর্থবছরের) বাজেট প্রণয়নের সময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি খুব একটা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি এবং তখন আইএমএফ'র দিক থেকেও কোন শর্ত ছিল না। তাই গতবারের ফর্মুলায় এবারের বাজেট প্রণয়ন করা যাবে না'।
তিনি বলেন, 'গতবছর ভর্তুকি বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ছিল। কিন্তু, এবার ভর্তুকিও কমাতে হবে, আবার মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ব্যয় বাড়াতে হবে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিও বিবেচনায় নিতে হবে'।
সামাজিক নিরাপত্তায় ব্যয় বাড়াতে হলে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। 'কিন্তু আমদানি নিয়ন্ত্রণের কারণে আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব কমে যাবে। সেক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ কর থেকে আয় বাড়াতে হবে, কিন্তু চাইলেই এটা বাড়ানো সম্ভব নয়'- জানান তিনি।
মূল্যস্ফীতির সঙ্গে মুদ্রার বিনিময় হারের বিরাট সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে মাহবুব আহমেদ বলেন, তাই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ডলারের বিপরীতে টাকা শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে। 'একইসঙ্গে সরকারের আয় বাড়াতে নতুন অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধিও বাড়াতে হবে'।
জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন ৭.৫ শতাংশ
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনে ছাড় দিয়েছে সরকার। কিন্তু, আগামী অর্থবছরের বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আরো রাজস্ব আহরণের চাহিদা থাকায় – চলতি অর্থবছরের তুলনায় আরো উচ্চ বা ৭.৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে। একইসঙ্গে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন হবে বলেও স্বীকার করেন তারা।
প্রত্যক্ষ কর থেকে রাজস্ব বাড়াতে হলে কর কাঠামোয় উল্লেখযোগ্য সংস্কার প্রয়োজন বলেও তারা মনে করেন।
৫ শতাংশ বাজেট ঘাটতি
কর্মকর্তারা জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৫০ হাজার ১৯৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালন বাজেটের আকার ৪ লাখ ৭০ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা ও উন্নয়ন বাজেট ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা।
তবে বাজেটে বরাবরের মতো ঘাটতি ৫% ঘাটতি রাখা হচ্ছে জানিয়ে অর্থবিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, 'আইএমএফ এর হিসাব অনুযায়ী, ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমাদের বৈদেশিক দেনা নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকবে। ওই সময় পর্যন্ত আমাদের দেনার কার্ভ ৪৫ ডিগ্রি এঙ্গেলের নিচে থাকবে'। তবে সরকার হঠাৎ করে অনেক বেশি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে হাত দিলে বৈদেশিক ঋণের দায় মেটানো চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়বে।
বৃহত্তর সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী
বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা টিবিএসকে জানান, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলে ভর্তুকি কমাতে দাম বাড়ানোর প্রভাব যাতে দরিদ্রদের ওপর অধিকমাত্রায় না পরে, সেজন্য খাদ্য সহায়তা, ত্রাণ ও কৃষকদের জন্য সহায়তা বাড়ানো হবে। নতুন করে কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে বাড়তি বরাদ্দ থাকবে এবং শিক্ষা উপবৃত্তির সুবিধাভোগী বাড়ানো হবে।
তবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অপচয়ও রোধ করার উদ্যোগও থাকবে বাজেটে। একই ব্যক্তি যাতে একাধিক সুবিধা নিতে না পারে এবং স্বচ্ছল ব্যক্তিরা যাতে এসব সুবিধার বাইরে থাকে, সেজন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম(এমআইএস) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন খাতের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের এই তথ্য ভান্ডারে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আবদুল ওয়াদুদ এ বিষয়ে টিবিএসকে বলেন, আগামী অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচি বাড়ানো হবে।
দারিদ্র্যতার মানচিত্র অনুযায়ী গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, জামালপুরসহ পাঁচটি জেলায় এ কার্যক্রম বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বাড়তি বরাদ্দ চেয়েছে তার মন্ত্রণালয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট) ড. সালমা মমতাজ বলেন, ৬২ লাখ ৫০ হজার মানুষ সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধা পাচ্ছেন। খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) কার্ডের মাধ্যমে পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।ওএমএসের সুবিধাভোগী কারা হবেন, কতজন হবেন এসব নির্ধারণে আগামী সপ্তাহে খাদ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভা ডাকা হয়েছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ওএমএসের সুবিধাভোগী ৩৭.৩৫ লাখ জন প্রাক্কলন করে ১ হাজার ৭২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ আরও বাড়তে পারে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সার ও সেচে কি পরিমাণ ভর্তুকি রাখা হবে, তা সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্ধারিত হবে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ খাতে আগামী অর্থবছরের জন্য চলতি অর্থবছরের মত ১৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।
বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সামাজিক নিরাপত্তার উল্লেখযোগ্য অংশ বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (সামাজিক নিরাপত্তা) মো: মোকতার হোসেন বলেন, সরকারের পরিকল্পনা ছিল- পর্যায়ক্রমে দেশের সকল বয়স্ক মানুষকে ভাতার আওতায় আনা। সে অনুযায়ী, প্রতি অর্থবছরে নির্দিষ্ট সংখ্যক উপজেলার শতভাগ বয়স্ককে ভাতার আওতায় আনা হচ্ছিল। কিন্তু, আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি অর্থবছর সেটি করা হয়নি।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, আগামী বাজেটে মহিলা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীও বাড়ানো হবে। অধিদপ্তরের পরিচালক মনোয়ারা ইশরাত বলেন, সুবিধাভোগী বাড়ানো হবে। তবে কতভাগ বাড়বে সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।