ফেব্রুয়ারিতে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমেছে গত বছরের তুলনায় ৬৭,৭৮৭ টিইইউএস
দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরে ফেব্রুয়ারিতে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমেছে ৬৭,৭৮৭ টিইইউএস। ডলার সংকটে আমদানি কমে যাওয়ায় কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমেছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা।
বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমদানি, রপ্তানি এবং খালি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয় ১,৬৮,০৭৪ টিইইউএস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল ২,৩৫,৮৬১ টিইইউএস।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয় ৭৭,৮৪১ টিইইউএস; খালি কন্টেইনার আমদানি হয় ১০,১২৫ টিইইউএস; পণ্যবাহী রপ্তানি কন্টেইনার ৫৬,২২৪ টিইইউএস এবং খালি কন্টেইনার রপ্তানি হয় ২৩,৮৮৪ টিইইউএস।
বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারির তুলনায় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে হ্যান্ডলিং কমেছে ৬৭,৪১৯ টিইইউএস।
সাইফ মেরিটাইমের সিইও আবদুল্লাহ জহির জানান, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাণিজ্যে মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ডলার সংকটের কারণে পণ্য আমদানি সীমিত করেছে সরকার। এতে বিলাসজাতীয় পণ্যের আমদানি কমেছে। ফলে ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ক্রমাগত কমতে থাকে আমদানি।
দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশই হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। বাংলাদেশের অন্যান্য সমুদ্রবন্দর দিয়ে পরিবহন করা কার্গো কনটেইনারগুলোর প্রায় ৯৮ শতাংশ এই সমুদ্রবন্দর দিয়েই পরিবহন করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানিকৃত পণ্যের প্রায় ২৫ শতাংশ পরিবহন করা হয় কন্টেইনারে।
বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে মোট কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৩১,৩৩,০২০ টিইইউএস এবং ২০২১ সালে হয়েছিল ৩২,১৪,৫৪৮ টিইইউএস।