দ্বিতীয়বারের মতো মোবাইল ব্যাংকিং-এ মাসিক লেনদেন ছাড়ালো ১ লাখ কোটি টাকা
বিকাশ ও রকেটের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) ২০১১ সালে চালু হওয়ার পর থেকে দ্বিতীয়বারের মতো মাসওয়ারী লেনদেন ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জানুয়ারি মাসে ১,০০,৫৯৩ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন গ্রাহকেরা। গতবছরের ডিসেম্বরের তুলনায় এ লেনদেন বেড়েছে ৪.৬৪%।
টাকার রেকর্ড ছাড়াও এ খাতে সর্বাধিক লেনদেন হয়েছে এ বছরের জানুয়ারিতে, সংখ্যায় এটি ৪৬.৩০ কোটি। এটি গত মাসের তুলনায় ৩.৫ কোটি বেশি।
এর আগে গতবছরের এপ্রিলে ঈদের সময়ে ১ লাখ কোটি টাকা পার করেছিল এমএফএস এর লেনদেন। ধারণা করা হচ্ছে, সামনের ঈদ উপলক্ষে লেনদেনের পরিমাণ আরও বাড়বে।
বিকাশের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশনস শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, "আমাদের গ্রাহকের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি।"
"ডিজিটাল লেনদেনে মানুষ এখন ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। আমরাও চেষ্টা করে যাচ্ছি নতুন নতুন প্রোডাক্ট অন্তর্ভুক্ত করার। এখন মার্চেন্ট পেমেন্ট, ব্যাংক জমাসহ অনেক সুবিধাই এমএফএস এর মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে।"
তিনি আরো বলেন, "আমরা দেখেছি একবার যে গ্রাহক বিকাশে লেনদেন করেছেন, পরবর্তীতে সে গ্রাহক আবার লেনদেন করতে উৎসাহী হয়েছেন। মূল কথা হলো এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর মানুষজনের আস্থার পরিমাণ বেড়েছে। এটিই লেনদেন বাড়াতে সহায়তা করেছে। এছাড়া এমএফএস এর মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন ভাতা বিতরণসহ নীতিগত সহায়তা গ্রাহক ও লেনদেন বাড়াতে সাহায্য করেছে।"
জানুয়ারি মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, পারসন টু পারসন ব্যালেন্স ট্রান্সফার, স্যালারি ডিস্ট্রিবিউশনসহ সবক্ষেত্রেই লেনদেন ডিসেম্বরের তুলনায় বেড়েছে।
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে মার্চেন্ট পেমেন্টে। জানুয়ারি মাসে ৩৩৭৩ কোটি টাকার মার্চেন্ট পেমেন্ট করা হয়েছে। এখানে বার্ষিক গ্রোথ প্রায় ১৪%।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গতবছরের ডিসেম্বর শেষে এমএফএস এ মোট গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯.৪১ কোটিতে। গত এক বছরে গ্রাহক ২.১ কোটি বেড়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করার অনুমতি দেয়। পরের বছর ডাচ-বাংলা ব্যাংকের 'রকেট' এর মাধ্যমে এটি শুরু হয়।
বর্তমানে ১৩টি ব্যাংক দেশে বিকাশ, ইউক্যাশ, মাইক্যাশ এবং শিওরক্যাশ- ইত্যাদি বিভিন্ন নামে এই পরিষেবা দিয়ে আসছে।