বিদ্যুৎ ও কৃষি খাতে ১.১০ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব
বারবার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানির দাম বাড়ানো সত্ত্বেও ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না সরকার।
প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ভর্তুকির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা।
বাজেট নথিতে বলা হয়েছে, জমাকৃত বকেয়ার কারণে ভর্তুকি ব্যয়ের বোঝা পুরোপুরি কমতে কিছুটা সময় লাগবে।
তাই আগামী অর্থবছরেও সরকারের বিদ্যুৎ ও কৃষি ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ানো দরকার।
তবে সরকার মনে করে যে সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধি ও আসন্ন ফর্মুলাভিত্তিক মূল্য সমন্বয় প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের পরে মধ্যমেয়াদে মোট ভর্তুকি ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে।
জ্বালানি খাতে ফর্মুলাভিত্তিক মূল্য সমন্বয়ের একটি স্থায়ী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি রোড ম্যাপ প্রণয়ন করা হচ্ছে, যার ফলে সরকার তিন মাস পরপর জ্বালানির দাম সমন্বয় করতে পারবে।
সংশোধিত বাজেটে আন্তর্জাতিক বাজারে সার, জ্বালানি ও গ্যাসের দাম অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে ভর্তুকি বরাদ্দ জিডিপির ২.২ শতাংশে উন্নীত করা হয়; যদিও ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ ছিল জিডিপির ১.৮৩ শতাংশ।
তবে যুদ্ধপূর্ব সময়ে ভর্তুকি ও প্রণোদনার জন্য বরাদ্দ গড়ে জিডিপির ১ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।