ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় চাপ বেড়েছে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের জুলাই মাসের তুলানায় চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে সরকারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ৪১.৩৮ শতাংশ।
কিন্তু টাকার অংশে হিসাব করলে এই বৃদ্ধি ৬৩.৭৭ শতাংশে (১,০৭৪.৭৬ কোটি টাকা) গিয়ে পৌঁছায়। মার্কিন ডলারের বিপরীতে স্থানীয় টাকার মান কমে যাওয়ার (অবমূল্যায়ন) কারণেই টাকার হিসাবে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ এতটা বেড়েছে।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, সরকার চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের সুদ ও আসল পরিশোধে করেছে ২৫৩.০৯ মিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৭৯.০২ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, গত অর্থবছরের তুলনায় সরকারের ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ৪১.৩৮ শতাংশ।
গত বছরের জুলাইয়ে ডলারপ্রতি মূল্য ছিল ৯৪.৭০ টাকা, যা বেড়ে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে হয়েছে ১০৯ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার-ভিত্তিক ঋণের সুদ পরিশোধের কারণে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ পরিশোধের জন্য চাপের মধ্যে রয়েছে সরকার।
গত অর্থবছরের জুলাইয়ে সরকার উন্নয়ন সহযোগীদের সুদ বাবদ পরিশোধ করেছিল ৬৪.৬৮ মিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরে যা বেড়ে হয়েছে ১০৬.৫৬ মিলিয়ন ডলার।
এদিকে, ঋণ পরিশোধ বাড়লেও চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থছাড় ১৭ শতাংশ কমেছে।
চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে বৈদেশিক ঋণে অর্থছাড় হয়েছে ৪০৫.৭৯ মিলিয়ন ডালার, যা এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪৮৮.০৪ মিলিয়ন ডলার।
ইআরডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের উন্নয়ন সহযোগীরা এখনও নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয়নি। তবে জুলাইয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে কোনো ঋণের প্রতিশ্রুতি না আসলেও ৫.৩৯ মিলিয়ন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
এর আগের অর্থবছরের জুলাইয়ে সরকার ১.৫৩ মিলিয়ন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল।
অর্থবছরের প্রথম মাসে জাপান ছাড় করেছে ২৫১.৮৯ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ৭০.৪৩ এবং বিশ্বব্যাংক ৫৭.৫৩ মিলিয়ন ডলার অর্থছাড় করেছে।