সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় ৪.৩১ বিলিয়ন ডলার, এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন
গেল মাস সেপ্টেম্বরে পণ্যদ্রব্য রপ্তানি বাবদ ৪.৩১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন মাসিক রপ্তানি আয়। এর আগে এপ্রিলে রপ্তানি আয় নেমে এসেছিল ৩.৯৬ বিলিয়ন ডলারে।
আজ রোববার (১ অক্টোবর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত রপ্তানির হালনাগাদ তথ্যসূত্রে যা জানা গেছে।
ইপিবির তথ্যমতে, আগের বছরের একই মাসের তুলনায় এ বছরের সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় ১০.৩৭ শতাংশ বেড়েছে। আগের বছরের সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৩.৯ বিলিয়ন ডলার।
অবশ্য গেল মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪.৬৩ বিলিয়ন ডলার হলেও- তার চেয়ে ৭ শতাংশ কম হয়েছে।
এর আগে, আগস্ট মাসের রপ্তানি আয় বছরওয়ারি হিসাবে প্রায় ৩৬ শতাংশ বেড়ে ৪.৬১ বিলিয়ন ডলার হয়। তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও পাটপণ্যের রপ্তানি এই বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
জুনের পর থেকেই পড়তির দিকে রয়েছে দেশের রপ্তানি আয়, ব্যতিক্রম ছিল কেবল আগস্ট মাস। জুনে বাংলাদেশ ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্যদ্রব্য রপ্তানি করেছে, জুলাইয়ে যা নেমে আসে ৪.৫৯ বিলিয়ন ডলারে।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরে তৈরি পোশাক খাত বাদে, রপ্তানির অন্যান্য প্রধান খাত– কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটপণ্য, হোম টেক্সটাইল এবং প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমে গেছে।
গেল মাসে শুধুমাত্র তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৩ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ রপ্তানি আয়ই হয় পোশাক রপ্তানি থেকে। তবে ইপিবির এই তথ্য সঠিক চিত্র তুলে ধরেনি বলে মন্তব্য করেছেন পোশাক রপ্তানিকারকদের কেউ কেউ।
বাংলাদেশের নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সমিতি (বিকেএমইএ)-র সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান টিবিএসকে বলেন, 'অনেক কারখানায় রপ্তানি কার্যাদেশ বেশ কম। তারা ঠিকমতো চালুও থাকতেই পারছে না। তাহলে রপ্তানি বাড়ে কীভাবে, সেটা আমার বোধগম্য হয় না।'