সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম ২০ টাকা বেড়ে এখন ২০০ টাকা কেজি
সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও মগবাজার এলাকার দোকান ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম বলে ব্রয়লারের দাম বেড়েছে। কারওয়ান বাজারের 'ভাই বন্ধু দেশি মুরগি হাউজ' এর বিক্রেতা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেছি ১৮০ টাকা, এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২০৫ টাকা।
তিনি বলেন, "আজকে পাইকারি মুরগি কিনেছি ১৯০ টাকা। এটা গত সপ্তাহে ছিল ১৬৯ টাকা।"
আরেক বিক্রেতা মোহম্মদ ফজল বলেন, বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কিছুটা কম। তার উপর মুরগির বাচ্চার দাম বেড়েছে। সব মিলে এখন গত সপ্তাহের চেয়ে ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এখন ২০০ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি।
মগবাজার নয়াটোলা থেকে এ দামেই ব্রয়লার মুরগি কিনেছেন মোহম্মদ ফজল। তিনি বলেন, "গত সপ্তাহে কিনেছিলাম ১৮০ টাকা কেজি। প্রতি সপ্তাহে কোন না কোন পণ্যের দাম বেড়েই যাচ্ছে। মনে হচ্ছে বাজার পর্যবেক্ষণের কেউ নেই। সরকার যে কয়টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করেছে সেগুলোও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে।"
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার টিবিএসকে বলেন, "একদিনের মুরগির বাচ্চা ও মুরগির খাবারের দাম না কমালে সামনে ব্রয়লার মুরগির দাম আরও বাড়বে। দুই মাস আগে একদিনের মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ৩৫ টাকা, এখন সেটা হয়েছে ৫২ টাকা। কিছু বড় কর্পোরেট ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে মুরগির দাম বাড়াচ্ছে।"
তিনি বলেন, "প্রান্তিক খামাড়ির প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে ১৫৫ টাকায়। কিন্তু এখন এক কেজি মুরগির উৎপাদন খরচ ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। প্রান্তিক খামাড়িরা লোকসানে মুরগি বিক্রি করছে।"
কেন প্রান্তিক খামাড়ি লোকসানে মুরগি বিক্রি করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "প্রান্তিক খামারে যে দামে বিক্রি হবে তারচেয়ে বাজারে কেজি প্রতি ৪০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হবে। এখন এর চেয়ে বেশি দাম পাচ্ছে না প্রান্তিক খামারি।"
সুমন হাওলাদার আরো বলেন, "সরকারকে এখন মুরগির বাচ্চা ও মুরগির খাবার আমাদিন করে দাম কমানো প্রয়োজন। তাহলে উৎপাদন খরচ কমে যাবে আর বাজারে মুরগির দামও কমে আসবে।"
বেড়েছে পেঁয়াজ, সবজি, ডিমের দামও
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খুচরা পর্যায়ে কেজিতে আলুর দাম ৩৫-৩৬ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৬৪-৬৫ টাকা এবং ডিম প্রতি পিস ১২ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও দোকানিরা মানছে না।
দাম বেঁধে দেওয়ার প্রায় ২২ দিন পার হতে চললেও একটি পণ্যও নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না।
এদিকে নির্ধারিত দামে পণ্য কিনতে না পেরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
এখন দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, ডিম এখনো প্রতিটি ১২.৫০ টাকা, এছাড়া আলু ৪৫-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা মোহম্মদ হেলাল বলেন, "সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। আমরা পাইকারিতে ৯০ টাকা বিক্রি করছি, গত সপ্তাহে যা ছিল ৮০ টাকা।"