অ্যামিউজমেন্ট পার্কে বিনোদনের জন্য ব্যয় বাড়বে
অ্যামিউজমেন্ট পার্কেস ঘুরতে যাওয়ার জন্য যারা ভাবছেন, তাদের ব্যয় বাড়ছে। এ ধরনের পার্কে সেবা দেওয়ার বিপরীতে ভ্যাটের হার বিদ্যমান ৭.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দ্বিগুণ হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আজ (৬ মে) বাজেট প্রস্তাবনায় অ্যামিউজমেন্ট পার্ক পরিষেবায় ভ্যাটের হার ৭.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যামিউজমেন্ট পার্কস অ্যান্ড অ্যাট্রাকশনস (বিএএপিএ)-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৩০০টি বিনোদন ও থিম পার্ক রয়েছে। এর মধ্যে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য রয়েছেন প্রায় ১০০ জন। এ খাতে শুধু অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশনের চিফ কো-অর্ডিনেটর অনুপ কুমার সরকার টিবিএসকে বলেন, '২০২২ সালে এ খাতকে শিল্প খাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাধারণত শিল্প খাতে কর কমানো হয়। কিন্তু হঠাৎ কেন মুসক হার বাড়ানো হয়েছে বুঝতে পারছি না। এমনিতেই করোনার কারণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছেন অনেক বিনিয়োগকারীরা। তারা এখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু এর কারণে খরচ বাড়লে তারা আবার ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করবো।'
যান্ত্রিক লন্ড্রির ব্যয় বাড়ছে
যান্ত্রিক লন্ড্রির মাধ্যমে লন্ড্রি সেবা নিতে গেলে খরচ বাড়বে। এতে ভ্যট হার এখনকার ৭.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ হচ্ছে।
বিমানের যন্ত্রাংশ আমদানির খরচ কমছে
মোবাইল ফোনে কথা বলার খরচ বাড়ানো হলেও টার্বো-জেট, এয়ারক্রাফটের যন্ত্রাংশ, ইক্যুইপমেন্ট আমদানিতের ভ্যাট ও শুল্ক কমানো হচ্ছে। এর ফলে বেসরকারি বিমান কোম্পানিগুলোর খরচ কমার সুযোগ তৈরি হয়ছে।