ইটের ওপর কর বৃদ্ধির প্রস্তাব; বাড়তে পারে নির্মাণ খরচ
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ইটের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এমতাবস্থায় ইট প্রস্তুতকারক ও ব্যবসায়ীরা জানান, এর ফলে ইটের দামও বাড়বে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় বলেন, "আমি ইট, ব্রিকস চিপস ও মিকাড ব্যাটস এর ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুনির্দিষ্ট করের পরিমাণ ক্ষেত্রভেদে ১০ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করছি।"
এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিবিএমওএ) সাবেক সেক্রেটারি আবু বক্কর সিদ্দিক টিবিএসকে বলেন, "ট্যাক্স বাড়ানো হলে ইটের দাম বর্তমান বাজারদরের চেয়ে বাড়বে। আগামী অর্থবছর থেকে এটি কার্যকর হওয়ায় ইটের দামও তখন থেকেই বাড়বে।"
এদিকে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এর সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য নাইমুল ইসলাম খান টিবিএসকে বলেন, "ইট একটি অপরিহার্য নির্মাণ সামগ্রী। ইটের ওপর কর বাড়ালে ইটের দামও বাড়বে। সে অনুযায়ী ভবন নির্মাণের খরচও বাড়বে।"
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার, যা বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে প্রায় এক শতাংশ পয়েন্ট বেশি।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদে ৭,৯৭,০০০ কোটি টাকার বাজেট উন্মোচন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এর আগে গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবিত বাজেটের আকারে সম্মতি দেন।
এবারের বাজেট আগের বছরগুলোর তুলনায় ভিন্ন। সাধারণত, নতুন অর্থবছরের বাজেট আগের অর্থবছরের তুলনায় ১০ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। তবে এ বছর বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৮ শতাংশের কম বাড়ছে।