যেভাবে খায়রুল হোসেন প্রাইমারি ও শিবলী রুবাইয়াত সেকেন্ডারি বাজারকে পঙ্গু করেছেন
আর্থিকখাতের প্রাণকেন্দ্র পুঁজিবাজার, যার সুরক্ষায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাজারনিয়ন্ত্রকরা কঠোরভাবে সিকিউরিটিজ বিধিবিধান কার্যকর করে নেন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষার উদ্যোগ। এভাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে জালিয়াতি, বা বাজার-কারসাজি ঠেকানো হয়। বিগতদিনগুলোতে যার উল্টো নজির দেখা গেছে বাংলাদেশে, যেখানে নিয়ন্ত্রকরাই বাজারের প্রভাবশালী কিছু শেয়ারধারীর সাথে গড়ে তুলেছিলেন অন্যায় সহযোগিতার সম্পর্ক।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সর্বশেষ দুই চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন এবং শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের নেতৃত্বে এটি বিশেষভাবে দেখা গিয়েছিল।
২০১১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত দীর্ঘসময় বিএসইসির চেয়ারম্যান ছিলেন খায়রুল হোসেন। এ সময় পুঁজিবাজারের অনেক ক্ষতি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের এই অধ্যাপক। বেশকিছু দুর্বল কোম্পানিকে তিনি বেশি দরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন দেন। এতে দেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা থাকা সত্ত্বেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাস পায়।
তার উত্তরসূরি হিসেবে ২০২০ সালে দায়িত্ব নেন ঢাবির আরেক অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত উল ইসলাম। তিনি প্রাইমারি বাজার থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেন সেকেন্ডারিতে। আর ইনসাইডার ট্রেডার ও বাজারের বিশেষ কিছু পক্ষের সাথে গড়ে তোলেন সহযোগিতামূলক সম্পর্ক, আর এভাবেই দীর্ঘমেয়াদে সেকেন্ডারি বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার বদলে দ্রুত মুনাফাবাজিকে সর্বাগ্রে রাখেন।
এই দুজনের নেতৃত্বের যে ক্ষতি করেছে তা অত্যন্ত ব্যাপক।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের এক সপ্তাহ পরে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম এই দুজনের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন এবং তদন্তের মাধ্যমে তাঁদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান। তিনি উল্লেখ করেন যে, ১৪ বছর নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে নেতৃত্ব দেওয়া পরেও– খায়রুল ও শিবলীর অধীনে বাজারের উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি হয়নি। বরং, তারা বিনিয়োগকারীদের আস্থার আরও ক্ষয় করে তলানিতে নামিয়েছেন।
তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো এতই গুরুতর যে, বিএসইসির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ খান রোববার তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত এক দশকের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে পর্যালোচনা করা হবে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের অনিয়ম ঠেকাতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। এসময় পুঁজিবাজার উন্নয়নে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হবে– তার সম্পর্কেও ধারণা দেন।
খায়রুল: আইপিও'র অন্ধকারতম যুগের নেপথ্যে
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খায়রুল হোসেনের দুর্নীতির বড় অংশ ছিল, দুর্বল আইপিওগুলো। যা ১৪ বছর পরেও বাজার ধস-পরবর্তী পুনরুদ্ধার হতে দেয়নি।
তিনি বলেন, যথেষ্ট সংখ্যক ভালো কোম্পানি নিবন্ধিত হলে– তাদের ব্যবসা বাড়তো, বিনিয়োগকারীরা তখন এসব প্রতিষ্ঠানের আরও শেয়ার কিনতেন, যাতে করে এসব শেয়ারের দর বাড়তো, যা বাজারের মৌলভিত্তির উন্নয়নের সাথে সামঞ্জস্য রাখতো। এমনটা হলে হয়তো এতদিনে আমরা একটি চাঙ্গা পুঁজিবাজারে থাকতাম। কিন্তু, তা না হওয়ায় ২০১০ সালের ধসের পর থেকে ১০ লাখের বেশি বিনিয়োগকারী সর্বস্ব হারিয়ে পুঁজিবাজার ছেড়েছেন বলে জানান তিনি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একজন সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, 'খায়রুল হোসেন ৯ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার সময়ে আইপিও বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের শেয়ারের ব্যাপক জালিয়াতি করে প্রাইমারি মার্কেট ধ্বংস করেছেন। দেশের আইপিও বাজারের অন্ধকারতম অধ্যায় ছিল খায়রুলের মেয়াদ।'
''যেকোনও আইপিও-তে বিএসইসি-র অনুমোদনের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাথমিক অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল, কিন্তু আমি খুব কাছ থেকেই দেখেছি, খায়রুলের নেতৃত্বে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে তার পছন্দের স্কিমগুলোর বিরুদ্ধে না দাঁড়াতে বাধ্য করা হয়েছিল' - যোগ করেন তিনি।
পুলিশের তৎকালীন ক্ষমতাধর কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়কারী কর্মকর্তা মতিউর রহমানের পরিবারের সদস্যরা রিং শাইন টেক্সটাইলের প্রি আইপিও প্লেসমেন্ট শেয়ার পেয়েছিলেন। কোম্পানিটি উচ্চ দর নিয়েই আইপিওতে আসার চেষ্টা করছিল।
বাজারে তালিকাভুক্তির পর জানা যায়, কোম্পানিটি প্রায় ৩৩ জন বহিরাগত এবং ১১ জন স্পনসর-ডিরেক্টরকে ৫০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের ফ্রি শেয়ার দিয়েছে। প্রকৃত অবস্থা সামনে এলে, প্রতিটি ১০ টাকা ফেসভ্যালুর এই দুর্বল কোম্পানির শেয়ার এখন লেনদেন হচ্ছে ৫ টাকারও কম দরে।
ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর রিপোর্টে আদালতের স্থগিতাদেশের কথা উল্লেখ করে ঋণখেলাপি নূরানি ডায়িংকে তালিকাভুক্ত করার অনুমতি দেন খায়রুল। অ্যাপোলো ইস্পাতকে পাবলিকে আসতে না দিতে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিঠি সত্ত্বেও কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। যার পরিণাম বিনিয়োগকারীদের সইতে হয়।
২০২০ সালের আগস্টে টিবিএস-এর এক বিশ্লেষণে জানা যায়, খায়রুল হোসেন অনুমোদিত প্রায় ১০০টি আইপিওর অর্ধেকও প্রাইমারি শেয়ারধারীদের জন্য ফিক্সড ইনকাম ইনস্ট্রুমেন্টগুলোর সমান রিটার্ন অর্জন করতে পারেনি। অন্যদিকে এগুলো সেকেন্ডারি বাজারে প্রথমে যখন আসে, সেখানেও বিনিয়োগকারীদের অনেক বেশি লোকসান হয়েছিল।
যেসব কোম্পানি মাঝারি ধরনের ছিল পরের বছরগুলোয় সেকেন্ডারি বাজারে তাঁদের শেয়ার দরের কিছুটা উন্নতি হয়। তবে জালিয়াতির মাধ্যমে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের ক্ষেত্রে তা হয়নি।
২০১৯ সালে খায়রুলের আইপিও সংক্রান্ত অনিয়ম ও এভাবে বিপুল সম্পদ অর্জন নিয়ে একটি তদন্তও শুরু করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু, পরে সেটি আর একেবারেই এগোয়নি।
এরপরে অবশ্য টানা ৯ বছর বিসিইসির চেয়ারম্যান পদে রেকর্ড সময় থাকার পরে ২০২০ সালের মে মাসে সরে যেতে হয় তাকে।
রোববার মুঠোফোনে টিবিএস কথা বলেছে খায়রুল হোসেনের সাথে। এসময় তিনি দাবি করেন, 'বিসিইসির দায়িত্ব নেওয়ার প্রথমদিন থেকেই আমি নিয়মকানুন সব মেনে চলেছি। আমার কোনো অবৈধ আয় নেই।'
তিনি বলেন, আইপিও প্রসপেক্টাসে কোম্পানি প্রফেশনাল ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের মাধ্যমে করা নিরীক্ষিত তথ্য প্রকাশের ভিত্তিতে, এবং সর্বোপরি বিনিয়োগকারীদের বিবেচনার ভিত্তিতে বিসিইসি কাজ করে। এছাড়াও একটি দল এক্সচেঞ্জের প্রাথমিক অনুমোদনের পরে বিএসইসিতে জমা দেওয়া কাগজপত্রগুলি যাচাই করে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন খায়রুল।
শিবলী রুবায়তের প্রতারণার শিকার বিনিয়োগকারীরা
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শাটডাউনের সময় প্রায় দুই মাস পুঁজিবাজার বন্ধ থাকে। এসময় খায়রুল বিসিইসি থেকে সরে যান, আর দায়িত্ব নেন শিবলী রুবায়াত উল ইসলাম।
দায়িত্ব নিয়েই দরকারি সব সংস্কার ও সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দ্রুত বাজার চাঙ্গা হওয়ার বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের আশাবাদীও করেছিলেন শিবলী।
এরপরে বাজারে শেয়ারদরের কিছুটা উত্থানও হয়েছিল, তবে সেটা ছিল ক্ষণস্থায়ী। ঢাকা এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক - ডিএসইএক্স ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১০০ শতাংশের বেশি বেড়ে ৭ হাজার ৩০০ পয়েন্ট ছাড়িয়েছিল।
কিন্তু, বিনিয়োগকারীরা যখন জানতে পারলেন যে ছোট মূলধন সীমার খাতগুলোর অস্বাভাবিক উত্থানের পেছনে কাজ করছে শিবলীর সমর্থিত একটি চক্র – ঠিক তার সঙ্গে সঙ্গেই দরের উত্থান বন্ধ হয়ে যায়, জানান শীর্ষ একটি ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী (সিইও)।
নাম না প্রকাশের শর্তে তিনি বলেন, 'এসময় সমবায় বিভাগের কর্মকর্তা আবুল খায়ের হিরু সেকেন্ডারি বাজারের বৃহত্তম নিয়ন্ত্রক হিসাবে আবির্ভূত হন। শিবলী তাঁকে দায়মুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিলেন।'
পরে হিরুর সহযোগীদের জরিমানা করেছিল বাজার নিয়ন্ত্রক। কিন্তু, ততদিনে বাজার থেকে অনেক বেশি কামিয়ে নিয়েছিলেন তারা।
ওই সময়ে বাজারে সক্রিয় থাকা বিনিয়োগকারীদের অন্যান্য জোটগুলোও দেখে যে, শিবলী শুধু তার ঘনিষ্ঠ চক্রগুলোকেই নানান সুবিধা ও ছাড় দিচ্ছেন। ফলে যারা এর বাইরে তাদের বাজার প্রভাবিত করার ক্ষমতা একেবারেই কমে যায়। এ অবস্থায়, শিবলীর সাথে এসব চক্র পারস্পরিক স্বার্থরক্ষা করে কাজ করছে এমন সন্দেহ আরও দানা বাধতে থাকে।
বিদেশে বিভিন্ন রোড শো করে শিবলী ও তার সহযোগী চক্রের সদস্যরা মানুষের চোখে ধুলো দিচ্ছিলেন, যেগুলো নিয়ে ব্যাপক সমালোচনাও ছিল।
শেয়ারদরে অতিমুল্যায়িত একটা অবস্থা থাকার মধ্যেই ২০২২ সালের জুলাইয়ের শেষে ফ্লোর প্রাইস ব্যবস্থা ফের চালু করেন শিবলী, যেটি এর আগে ২০২১ সালেই তুলে নেওয়া হয়েছিল।
২০২১ সালের অক্টোবরের পরবর্তী সময়ে পুঁজিবাজারে দর উত্থানের জন্য শিবলী যে চেষ্টা করেন, যুক্তিসঙ্গত বিনিয়োগকারীরা সেখানে সাড়া দেননি। এই প্রত্যাখানের পরে তিনি তার চক্রগুলোকে শেয়ারদর নিয়ে আগ্রাসীভাবে খেলার সুযোগ দেন, একইসাথে দর উত্থানের কিছু কারচুপি মাধ্যমে দেখিয়েছিলেন যে শেয়ার বাজার ঠিক আছে।
তার এসব কারসাজিকারী সহযোগীরা যখন মূলধন ক্ষয়ের চাপে পড়ে, তখন তিনি দ্বিতীয় বারের মতো শেয়ারদরে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেন। শেয়ারদরে এই মূল্যসীমা থাকায়, অনেকের পক্ষেই হাতে থাকা শেয়ার ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ কমে যায়, যা বাজার ও বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
অল্প কয়েকটি স্ক্রিপ ছাড়া চলতি বছরের শুরুতে বাকি সবগুলোর থেকেই এটি তুলে নেওয়া হয়।
মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, 'ডজন ডজন ভুয়া আইপিও'র অনুমোদন দিয়ে তার মেয়াদের ৯ বছরে প্রাইমারি মার্কেট ধ্বংস করেন খায়রুল হোসেন। অন্যদিকে, সেকেন্ডারি বাজারকে মন্দ লোকেদের একান্ত প্লে-গ্রাউন্ডে পরিণত করেছিলেন শিবলী রুবায়েত। যার ফলে আমাদের পক্ষে এখন সঞ্চয়কারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে রাজি করানো প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে।'
যে ধরনের জঘন্য কারসাজিকারীদের শিবলী দোসর বানিয়েছিলেন, তা দেখে যৌক্তিক বিনিয়োগকারীরা খুবই হতাশ হয়েছেন। অন্যদিকে এ ধরনের কাজ থেকে ফায়দা লুটেছেন ইনসাইডাররা।
তিনি একজন অনাবাসী বাংলাদেশী বন্ধুর জালিয়াতি করা তহবিল পেয়েছিলেন, এবং সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের জন্য একজন কারসাজিকারীকে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার ছোট ছেলে পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি কোম্পানির মালিক হন।
সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন বলেন, বাজারের চক্রগুলোতে শিবলীর ঘনিষ্ঠরা প্রত্যেকে নজিরবিহীন ছাড় এবং দায়মুক্তি পেয়েছেন। যেমন সোনালী পেপারের পুনঃতালিকাভুক্তি ও তার পরে দর উত্থানের সময়ে ১৭-১৮ বার ছাড় দেয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।
পুঁজিবাজারের এক বিশ্লেষক টিবিএসকে বলেন, বিএসইসিতে যোগ দেওয়ার সময়েও শিবলী ছিলেন একজন ঋণখেলাপি, তার সখ্যতা সব সময়েই ছিল অসৎ লোকজনের সাথে। তার অধীনে বিনিয়োগকারীদের স্বাধীনতাকে কবর দিয়েছে বিএসইসি। শিবলী বড় বিনিয়োগকারীদের নির্দিষ্ট শেয়ার বিক্রি বা না কিনতে বাধ্য করছেন– এমন সব ঘটনা প্রায় প্রতিমাসেই পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের কাছে হয়ে উঠছিল প্রধান আলোচ্য বিষয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের স্বার্থেও কাজ করেছেন শিবলী। বেক্সিমকোর ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ছাড়ার অনুমোদন তিনিই দেন। এরপরে আমার বন্ড এর মাধ্যমে আরও ১ হাজার কোটি টাকা তোলা হয় বাজার থেকে। এরপর এই বছরের শুরুতে আরও ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বন্ড জারিতে আংশিক সফলও হয় বেক্সিমকো। বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির শেয়ারদর কারসাজির জন্য সেগুলোর সম্পর্কে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নানান ধরনের কাহিনি ফাঁদতে শঠতা ছিল তুলনাহীন।