কিউকমের গ্রাহকদের পাওনা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ
ই-কমার্স প্লাটফর্ম কিউকমের যেসব গ্রাহক অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করে পণ্য বা রিফান্ড কোনটিই পাননি, তাদের পাওনা অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি নেই বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়, পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) ও বাংলাদেশ ব্যাংক।
পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টারের কাছে কিউকমের ৩৯৭ কোটি টাকা আটকে আছে। এই টাকার মধ্যে অন্তত গ্রাহকদের অন্তত ১৬৬ কোটি টাকা রয়েছে, যার বিপরীতে পণ্য ডেলিভারি করেনি ই-কমার্স কোম্পানিটি। ফস্টারের জব্দ অ্যাকাউন্ট এসব টাকা আটকে রয়েছে।
এই টাকা ফেরত দিতে মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান এ এইচ এম শফিকুজ্জামান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, কিউকমের গ্রাহকদের পাওনা অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থা ইতিবাচক মতামত দিয়েছে।
'যেসব কাস্টমার অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করেও পণ্য পায়নি, তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের কাছে জমা দিতে কিউকম ও ফস্টারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই তালিকা পাওয়ার পর অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে'- যোগ করেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, কিউকম ও ফস্টার-উভয় কোম্পানির নামেই মামলা রয়েছে। যেসব গ্রাহক অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করেও পণ্য পায়নি, কোম্পানির অপরাধে তাদের গ্রাহকদের অর্থ আটকে রাখা কোনমতেই যৌক্তিক নয় বলে সংস্থাগুলো একমত হয়েছে।
১০ জানুয়ারি পণ্য না পাওয়া গ্রাহকদের তালিকা পাওয়ার পর এসব অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেবো। তাতে আইনগত কোন ঝামেলা না থাকলে গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। আর আইনগত জটিলতা দেখা দিলে আদালতের নির্দেশণা সাপেক্ষে এসব অর্থ ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ফস্টারের ২টি হিসাব স্থগিত করেছে, যেখানে প্রায় ১৯৪ কোটি টাকা রয়েছে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, কিউকমের ৬টি একাউন্টে গ্রাহকরা জমা করেছে ৭৯০ কোটি টাকা। লেনদেন স্থগিত থাকা এসব একাউন্টে স্থিতির পরিমাণ ২.৯৭ কোটি টাকা। বাকি টাকা তুলে নিয়েছে কোম্পানিটি।