নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখনও চড়া, ৫০ টাকা কেজির নিচে মেলে না সবজি
সপ্তাহের ব্যবধানের সবজির দাম কেজি প্রতি ৫ টাকা কমলেও এখনও ৫০ টাকার কেজির নিচে সবজি পাওয়া যাচ্ছে না ঢাকার বাজারে।
চাহিদা বেশি থাকায় এখনও বেগুন ও কাচাঁমরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া, ৬০ থেকে ১০০ টাকা ডজনে বিক্রি হচ্ছে লেবু।
শুক্রবার কারওয়ান বাজার ঘুরে এ দামে পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারে পটল, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর করল্লা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
বিক্রেতা মোহম্মদ সামসুল হক বলেন, "রমজানে সবজির চাহিদা কম, তাই দাম সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা কমেছে।"
অন্যদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে ফার্মের মুরগির দাম ১০ টাকা কমে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর গরুর মাংস ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়। তবে, খাশির মাংসের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি, ৯৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে এটি।
কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা আফজাল হোসেন জানান, ফার্মের মুরগির চাহিদা কিছুটা কমে যাওয়ায় দাম কমেছে।
কারওয়ান বাজারে বাজার করতে এসেছেন মোহম্মদ মহিউদ্দিন । তিনি ৩ কেজি ফার্মের মুরগি কিনেছেন। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে মহিউদ্দিন বলেন, "রমজানের আসার আগেই প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন কিছু পণ্যের দাম কমিয়ে বলা হচ্ছে দাম কমেছে। আসলে বাজারে কোন কিছুরই দাম কম নয়। কোনো সবজি কেনা যাচ্ছে না ৫০ টাকার নিচে।"
বেসরকারি চাকুরিজীবী মোহম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, "দেশি মুরগি প্রতিকেজি ৬০০ টাকা, পাকিস্তানি কক মুরগি ৩০০ টাকা। গরুর মাংস ৬৫০ টাকা- এগুলো আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। আমরা কোনোরকমে ফার্মের মুরগি খেয়ে পুষ্টির চাহিদা মিটাচ্ছি।"
তবে পেঁয়াজ, আলুর দাম কম থাকা স্বস্তি দিয়েছে ক্রেতাদের। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। আর পেঁয়াজ ২৬ টাকায়।
ক্রেতা ইউনুস আলি বলেন, "অন্যান্য পণ্যের দাম যে হারে বাড়ছে সেখানে পেঁয়াজ ও আলুর দাম কম হওয়ায় এবার কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি।"
অন্যদিকে, সরকারের ভ্যাট কমানো ও বাজার মনিটরিংয়ের প্রভাবে সয়াবিন তেলের দাম এখন এক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশিল রয়েছে। ৫ লিটার তেল বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়।
প্রথম রজমানে ছোলার কেজি ৭৫ টাকায় বিক্রি করা হলেও বর্তমানে তা ৭০ টাকা; খোলা চিনির কেজি ৮০ টাকা ও প্যাকেট চিনি ৮৫ টাকা।
এছাড়া, এনকর বুট ডালের বেসন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
ইয়াসিন জেনারেল স্টোরের বিক্রয়কর্মী আমির হোসেন বলেন, "রোজার শুরুতে যেভাবে বেচাকেনা হয়েছে তার চেয়ে এখন কম বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা কমে যাওয়ায় ছোলা কেজিতে ৫ টাকা কমেছে।"
চায়না রসুন ১১০ টাকা, দেশি রসুন ৬০ টাকা ও আদা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে কারওয়ান বাজারে।