দুয়েকদিনের মধ্যে কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম: বাণিজ্য সচিব
সম্প্রতি বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমতে শুরু করায় দেশের বাজারেও দাম কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানান বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
কয়েক মাস আগে ভোজ্যতেলের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়। তবে সম্প্রতি তেল উৎপাদনকারী প্রধান দেশগুলোতে বীজ সংগ্রহের মৌসুম শুরু হওয়ায় গতমাসে বিশ্ববাজারে আবারও দাম কমতে শুরু করেছে। এ সময় ১১ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে ভোজ্যতেলের দাম।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের দ্বাদশ সম্মেলনের ফাঁকে আজ (২৬ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব বলেন, "আগামী দুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে সুখবর আসতে পারে।"
"আশা করি, তেলের দাম কমবে। সেটি নির্ধারণের জন্য হিসাব-নিকাশ করা হচ্ছে," যোগ করেন তিনি।
সচিব তপন কান্তি ঘোষ আরও উল্লেখ করেন, দেশের ভোজ্যতেল শোধনাগার এবং বিপণন সংস্থাগুলোর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে দাম নির্ধারণ করা হবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম কমবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
মহামারির প্রভাবে আগেই বেড়েছিল তেলের দাম। এর সঙ্গে গত কয়েকমাসে যোগ হয় রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট। সব মিলিয়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায় এই নিত্যপণ্যের দাম।
এদিকে, আমদানিকারকরাও সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন উপায়ে কারসাজি করে দাম বাড়িয়ে বেশি মুনাফা লুটছেন।
গেলো ১৫ জুন, আন্তর্জাতিক বাজারে এক টন অপরিশোধিত পাম তেলের দাম ১ হাজার ২৯০ ডলারে পৌঁছায়, যা এক মাস আগেও ছিল ১ হাজার ৭১৭ ডলার। ইন্ডেক্সমুন্ডির তথ্য মতে, চলতি বছরের এপ্রিলে দাম ছিল ১ হাজার ৬৮৩ ডলার এবং মার্চে ছিল ১ হাজার ৭৭৭ ডলার।
এছাড়া, বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সয়াবিন তেলের দাম টনপ্রতি ১১ শতাংশ কমে ১ হাজার ৭২৮ ডলারে নেমে আসে, যা মে মাসের মাঝামাঝি ছিল ১ হাজার ৯৬৩ ডলার, এপ্রিলে ছিল ১ হাজার ৯৪৮ এবং মার্চে ছিল ১ হাজার ৯৫৭ ডলার।
তবে, বিশ্বব্যাপী দাম কমলেও বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৯ জুন প্রতি লিটার (বোতলজাত) সয়াবিন তেলের দাম ৭ টাকা বাড়িয়ে ২০৫ টাকা নির্ধারণ করে। অন্যদিকে, পাম তেলের দাম লিটার প্রতি ১৪ টাকা কমিয়ে ১৫৮ টাকা করা হয়।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে আলাপকালে ব্যবসায়ীরা জানান, গত দুই মাস ধরে দাম প্রায় অপরিবর্তিতই ছিল।