এবার ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও ভারতের ভ্রমণকারীদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিল চীন
ভিসা থাকা বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশে বসবাসকারী চীনা নাগরিক ব্যতীত অন্য বাংলাদেশিদের চীন ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতেই জানায় ঢাকায় অবস্থিত দেশটির দূতাবাস। এবার সেই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে; ব্রিটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ভারত ও ফিলিপাইন।
বিশ্বব্যাপী যখন নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় জোয়ার আঘাত হেনেছে, ঠিক তখন কঠোর এ চলাচল নিষেধাজ্ঞার কথা জানালো বেইজিং।
বিদেশিদের মধ্যে যাদের ভিসার মেয়াদ কার্যকর আছে, চীনে প্রবেশের আগে তাদের নিবিড়ভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। আরও বেশকিছু দেশের ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে কঠোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং আইসোলেশনের বিধি চালু করার কথা জানানো হয়েছে।
ব্রিটেন অবশ্য এ নিষেধাজ্ঞায় খুশি নয়। চীনে ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের ব্যাপক যাতায়াত রয়েছে। খবর রয়টার্সের।
এব্যাপারে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে চীনে অবস্থিত ব্রিটিশ চেম্বার অব কমার্স। ব্যবসায়ী জোটটির বিবৃতিতে বলা হয়, 'হঠাৎ করে এভাবে সকলের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়াটা অপ্রত্যাশিত। তাছাড়া, প্রত্যাহারের সময়সীমা সম্পর্কেও নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।'
ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্ট না হলেও, সম্ভবত ইংল্যান্ডে লকডাউন চালু হওয়ার কারণেই বেইজিং এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকেই এক মাসের লকডাউন চালু হয়েছে সেখানে। তাছাড়া, ইউরোপে করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু সংখ্যা এখন ব্রিটেনের। প্রতিদিন সেখানে ২০ হাজারের বেশি সংক্রমণ ধরা পড়ছে।
নিষেধাজ্ঞায় পড়া আরেক দেশ বেলজিয়াম এখন মাথাপিছু সংক্রমণ সংখ্যায় ইউরোপে শীর্ষস্থানে। আর সর্বোচ্চ সংক্রমণ সংখ্যায় বিশ্বের প্রথম পাঁচটি দেশের তালিকায় রয়েছে; ফ্রান্স ও ভারত। চীনের সতর্কতার কারণ তাই পরিষ্কার বোঝা যায়।