এবার ৩ লাখ কোটি ডলারের অর্থনৈতিক প্রণোদনার বিল পাস মার্কিন কংগ্রেসে
করোনাভাইরাসের আঘাত থেকে মার্কিন অর্থনীতির পতন রক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে ৩ লাখ কোটি ডলারের একটি রিলিফ বিল পাস করেছে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ। চলমান মহামারির তাণ্ডবে অস্থির যুক্তরাষ্ট্রে এই অনুমোদনের রাজনৈতিক গুরুত্বও কম নয়। বিশেষ করে, আগামী নভেম্বরের নির্বাচনকে মাথায় রেখেই ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেস নতুন সহায়তা বিলটির অনুমোদন দেয়।
গতকাল শুক্রবার প্রতিনিধি পরিষদ ২০৮-১৯৯ ভোটের সামান্য ব্যবধানে নতুন বিলটি পাস করে। এর মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতি এবং জনস্বাস্থ্য খাতের দুরাবস্থা নিয়ে তারা যে রিপাবলিকান দলের চেয়ে বেশি সংবেদনশীল- তা মার্কিন জনতার কাছে তুলে ধরার প্রয়াস পেল।
কংগ্রেসের ভোটাভুটিতে দলীয় বিভাজন ছিল সুস্পষ্ট। মাত্র একজন রিপাবলিকান দলের সদস্য এসময় বিলটি পাসের পক্ষে ভোট দেন।
রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেটে তাই বিলটি পাসের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। পাশাপাশি এটি কার্যকর আইনেও পরিণত হতে পারবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগে থেকেই হুমকি দিয়েছেন যে, তার দপ্তর পর্যন্ত এটি পৌঁছালে তিনি তাতে নিজের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। খবর এপি ও রয়টার্সের।
পাস না হলেও অবশ্য ক্ষতি নেই। রাজনীতির ময়দানে ডেমোক্র্যাটদের উদ্দেশ্য ইতোমধ্যেই অনেকটা হাসিল হয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসের অনেক রিপাবলিকান সদস্য করোনা মহামারিরকালে নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলোর অস্তিত্ব রক্ষায় বাড়তি প্রণোদনা চান। তারা বাড়তি কর রেয়াতেরও পক্ষে। এই অবস্থায় তাদের সঙ্গে ট্রাম্পের নতুন করে এক আলোচনা শুরু হতে পারে। এমনটা হলে, সবার কাছে ডেমোক্র্যাট সমর্থিত উদ্যোগের গুরুত্বই বাড়বে।
অর্থাৎ রিপাবলিকান দলের মাঝেই এবার বিভেদ তৈরি করতে পারে 'হিরোজ অ্যাক্ট' নামের প্রণোদনা প্যাকেজটি।
নতুন প্রণোদনার আওতায় মহামারিতে বিপর্যয়ের শিকার রাজ্যগুলোর জন্য প্রায় এক লাখ কোটি ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আরেক দফায় মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া নাগরিক সহায়তার পরিধি বাড়ানো হয়। এর আওতায় বেকারত্ব ভাতাসহ সরকারের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ প্রদানের মাত্রা বাড়বে।
গত মার্চে অনুমোদিত দুই লাখ ২০ হাজার কোটি ডলারের প্রণোদনারই প্রতিচ্ছবি সর্বশেষ বিলটি।