করোনার মাঝেও সুখবর, অস্থায়ী কয়েকটি হাসপাতাল বন্ধ করেছে চীন
কোভিড-১৯ ভাইরাসটির বিস্তার রোধে অগ্রগতি আসায় চীন বেশকিছু অস্থায়ী হাসপাতাল বন্ধ করেছে। সোমবার দীর্ঘ ছুটি শেষ কর্মস্থলে ফিরেছেন ডিজনি রিসোর্ট কর্মীরা। চালু করা হয়েছে বেশ কিছু বিদ্যালয় এবং পর্যটন কেন্দ্র। এভাবেই দেশটিতে ভাইরাস দমনের যুদ্ধে কিছুটা সাফল্যের প্রেক্ষিতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত মোট ১ লাখ মানুষের শরীরে কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে। এদের সিংহভাগ অর্থাৎ ৮০ হাজার ৭৩৫ জন চীনা নাগরিক। তবে এদের অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন এবং সেদেশে মৃত্যুহার কমছে বলে জানান দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। খবর স্ট্রেইটস টাইমসের।
এক্ষেত্রে দেশের একটি বড় অংশকে কার্যত 'বিচ্ছিন্ন' করে রাখার উদ্যোগ ভাইরাসটির ব্যাপক বিস্তার রোধে সহায়ক হয়েছে বলেও তারা দাবি করেন।
চীনে এমন সময় ভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতির কথা বলা হচ্ছে যখন তা বাকি বিশ্বে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো কিছু দেশ বিপুল জনগোষ্ঠীকে পুরোপুরি 'বিচ্ছিন্ন' করে রাখার মতো কঠোর কর্মসূচী নিতে বাধ্য হচ্ছে।
গত সোমবার নাগাদ চীন নতুন করে ৪০জনের কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত হওয়ার কথা জানায়। গত জানুয়ারির পর এটাই সবচেয়ে কম দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
নতুন করে মারা গেছেন আরও ২২ জন। এরা সকলেই ভাইরাসের উৎসস্থল হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের বাসিন্দা। এর ফলে চীনে মোট মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ১১৯ জনে উন্নীত হলো।
এরপরেও হুবেই প্রদেশে সামগ্রিক পরিস্থিতি উন্নতির দিকে বলে জানান চীনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। গত সপ্তাহে ওই কর্মকর্তা খুব শিগগির হুবেই প্রদেশ থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে এমন ইঙ্গিত দেন।
বর্তমানে চীনে প্রায় ১৯ হাজার রোগী কোভিড-১৯ সংক্রমণের চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৮ হাজার। তখন থেকেই ধীরে ধীরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাপতন পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এই অবস্থায় প্রায় ২ হাজার শয্যা সক্ষমতার দুটি হাসপাতাল বন্ধ করার কথা জানায় চীন। বার্তা সংস্থা শিনহুয়া জানায়, অস্থায়ী দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেষ ৬১ জন রোগী সেরে ওঠার পরেই এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসও সোমবার তাদের এক ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে রোগীদের সেরে ওঠা, হাসপাতাল বন্ধ এবং স্বাস্থ্য সেবা কর্মীদের বাড়ি ফেরার আনন্দের সংবাদ জানায়। পোস্টের সঙ্গে বেশকিছু ছবিও প্রকাশ করে গণচীন দূতাবাস।