কাবুল বিমানবন্দর থেকে আমেরিকানদের সরে যাওয়ার নির্দেশ মার্কিন দূতাবাসের
নিরাপত্তাজনিত কারণে মার্কিন নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দরের আসতে নিষেধ করে দিয়েছে আফগানিস্তানের মার্কিন দূতাবাস। কর্মকর্তারা মার্কিন নাগরিকদের বিমানবন্দরে যাতায়তের ব্যাপারেও সতর্ক করে দিয়েছেন।
বুধবার (২৫ আগস্ট) দূতাবাস থেকে জানানো হয়, মার্কিন সরকারের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত, আমেরিকান নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দরে যাতায়াতে এবং বিমানবন্দরের প্রবেশপথে অবস্থান করতে নিষেধ করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের একজন মুখপাত্র ই-মেইল বার্তার মাধ্যমে জানান, "মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তাকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কাবুলের মার্কিন দূতাবাস নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছে, যেসব মার্কিন নাগরিক অ্যাবেই গেট, ইস্ট গেট বা নর্থ গেটে অবস্থান করছে তাদেরকে অবিলম্বে চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
আফগানিস্তানে উদ্ধার অভিযান ৩১ আগস্টের মধ্যে তখনই মার্কিন বাহিনী শেষ করতে পারবে, যখন এ ব্যাপারে তালেবান গোষ্ঠী কোনো ধরনের বাধা না দিয়ে, বরং সহযোগী হবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্টোনি ব্লিনকেনের এমন মন্তব্যের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানবন্দরে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়।
বুধবার বিকেলে একটি সংবাদ সম্মেলনে ব্লিনকেন উদ্ধার অভিযানের জটিলতা এবং সংশ্লিষ্ট ঝুঁকিগুলো তুলে ধরে বলেন, "আমরা এমন একটি প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করছি, যে দেশটি এখন তালেবান নিয়ন্ত্রণে এবং সেখানে আইএসআইএস দ্বারা আক্রমণের ঝুঁকিও রয়েছে। "
ব্লিনকেন জানান, এখনও আফগানিস্তান ছাড়তে চায় এমন প্রায় দেড় হাজার নাগরিক দেশটিতে রয়েছে; তবে, এ সংখ্যা কিছুটা কমও হতে পারে।
তিনি বলেন, বুধবার পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তারা প্রায় ৫০০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং কীভাবে তারা নিরাপদে কাবুল বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন সে সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়েছেন।
আরও প্রায় এক হাজার জনের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তারা দিনে একাধিক বার বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন বলে জানান ব্লিনকেন। তাদের মধ্যে মার্কিন নাগরিকও থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত দশদিনে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মার্কিন নাগরিককে কাবুল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া, উদ্ধার অভিযান নির্ধারিত সময়ের মাঝে শেষ না হলে, পেন্টাগন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে জরুরী পরিকল্পনা সমন্বয়ের নির্দেশনাও দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন জানিয়েছেন, মার্কিন এবং আফগান নাগরিক যারা এতদিন মার্কিন বাহিনীর কাজে সহায়তা করে এসেছে, তাদেরকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে। আফগানিস্তান ছাড়তে ইচ্ছুক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যদি ৩১ আগস্টের সময়সীমা ছাড়িয়েও যায়, তারপরেও প্রতিদিনই অভিযান চলবে।
এছাড়া, আঞ্চলিক দেশগুলোর পক্ষ থেকে ৩১ আগস্ট এবং এর পর পর্যন্ত বিমানবন্দর খোলা রাখার ব্যাপারেও চেষ্টা চলছে বলে জানান ব্লিনকেন।
- সূত্র: এনপিআর