কয়েকদিন পরই কোভিড-১৯ টিকা অনুমোদনের আবেদন করবে ফাইজার
মার্কিন ফার্মা জায়ান্ট ফাইজার ইঙ্ক তাদের তৃতীয় ট্রায়ালের চূড়ান্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ শেষ করেছে। প্রাথমিক ফলে ৯০ শতাংশের বেশি সফলতার কথা জানানো হলেও, চূড়ান্ত ফলে টিকাটি ৯৫ শতাংশ সফল হয়েছে বলে কোম্পানিটি দাবি করে।
এমন সাফল্যের কথা তুলে ধরে আজ বুধবার (১৮ নভেম্বর) ফাইজারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জানানো হয়, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তারা যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ামক সংস্থার কাছে এটির জরুরি অনুমোদন চেয়ে আবেদন করবে।
জরুরি অনুমোদন পাওয়া মাত্র মার্কিন স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথমে টিকাটি পাবেন। এর অন্তত একমাস পর জাতীয় পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে পারে।
ফাইজার জানায়, জার্মান সহযোগী বায়োএনটেকের সঙ্গে অংশীদারিত্বে উৎপাদিত তাদের টিকাটি সকল বয়স আর জাতিগোষ্ঠী তথা বর্ণের মানুষের মধ্যে সমানভাবে কাজ করে। পৃথিবীর সব মানুষকে করোনাভাইরাস থেকে স্থায়ীভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টায় এরফলে ইতিবাচক সম্ভাবনা যোগ হলো।
সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে, ফাইজারের টিকা জীবাণুর কারণে সবচেয়ে বেশি হুমকিতে থাকা ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের দেহেও ৯৪ শতাংশের বেশি কার্যকরভাবে রোগ প্রতিরোধ করতে সফল হয়।
চূড়ান্ত ফলাফলে গত সোমবার প্রকাশিত মডের্না টিকার প্রাথমিক বিশ্লেষণের মতোই সফলতার দাবি করেছে ফাইজার।
দুটি টিকাই প্রস্তুত করা হয়েছে ম্যাসেঞ্জার আরএনএ নামক একটি নতুন জৈব-প্রযুক্তির মাধ্যমে। এই প্রযুক্তি মহামারির লাগাম টেনে ধরার নতুন দিগন্ত যোগ করেছে। আর একবার সে সফলতা আসলে জীবন যেমন বাঁচবে, ঠিক তেমনি বিশ্ব অর্থনীতি নির্ভয়ে ফিরতে পারবে প্রাণ-চঞ্চল পরিবেশে। জীবিকার উপার্জনেরও সুযোগ পাবেন অগণিত মানুষ।
ফাইজারের সর্বশেষ ট্রায়ালে প্রায় ৪৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেয়। স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে প্রতিষেধকের গুরুতর কোনো পার্শ্বঃপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি।
- সূত্র: রয়টার্স ও ব্লুমবার্গ