গরিবদের কোভিড ভ্যাকসিন কিনে দিতে জি ৭-এর প্রতি সাবেক বিশ্বনেতাদের আহ্বান
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধ করতে এবং আগামীতে এর হুমকি ঠেকাতে বৈশ্বিক টিকাদান প্রচারণায় অর্থায়ন করতে গ্রুপ অব সেভেন (জি ৭) বা শীর্ষ ধনী দেশগুলোর প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১০০ বিশ্বনেতা।
আগামী শুক্রবার ইংল্যান্ডে শুরু হতে যাওয়া জি-৭ সামিটকে কেন্দ্র করে সাবেক নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান। সামিটে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, কানাডা ও জাপানের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
জি-৭-এর কাছে লেখা তাদের চিঠিতে সাবেক নেতারা বলেন, ২০২০ সালে বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু ২০২১ সালে এসে নতুন করে উদ্যোগ নিলে তা সফল হতে পারে।
চিঠিতে আরও লেখা হয়, 'জি-৭ এবং জি-২০ এর কাছ থেকে প্রাপ্ত সমর্থন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে সুলভ মূল্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারে। এটা কোনো দান নয়, বরং প্রতিটি দেশের কৌশলগত লাভ।'
চিঠিতে স্বাক্ষর প্রদানকারীদের মধ্যে আছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন ও টনি ব্লেয়ার, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান-কি মুন এবং আরও ১৫ জন সাবেক আফ্রিকান নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, সামিটে আমন্ত্রণ পাওয়া জি-৭ ও অন্য নেতাদের উচিত মহামারি মোকাবিলার জন্য বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলার করে দুই বছর মেয়াদী চুক্তির নিশ্চয়তা দেওয়া।
'জি-৭-এর জন্য এই টাকা দেওয়া কোনো দানশীলতা নয়। রোগ ছড়ানো ও মিউটেশন বন্ধ করতে এবং ভাইরাসের ফিরে আসা রুখে দিতে হলে নিজেদের সুরক্ষার জন্যই তাদের এই অর্থ দেওয়া উচিত', বলেন ব্রাউন।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, 'যুক্তরাজ্যে প্রতি সপ্তাহে মাথাপিছু মাত্র ৩০ পেন্স (০ দশমিক ৪৩ ডলার) করে দেওয়া খুবই অল্প টাকা। কিন্তু এর বিনিময়ে আমরা পাব বিশ্বের সেরা বীমা নীতি।'
সাবেক নেতাদের এই আর্জির সঙ্গে সম্প্রতি সেভ দ্য চিলড্রেনের করা একটি জরিপেরও মিল রয়েছে। ওই জরিপে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও কানাডার অধিকাংশ সাধারণ মানুষ ভ্যাকসিন কেনার জন্য জি-৭-এর ৬৬ বিলিয়ন ডলার দেওয়া উচিত বলে সমর্থন জানিয়েছেন।
ব্রিটেনে ৭৯ শতাংশ মানুষ এই নীতির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আমেরিকায়ও এর পক্ষে ভোট পড়েছে ৭৯ শতাংশ। তবে ফ্রান্সে পক্ষে ভোট পড়েছে সবচেয়ে কম, ৬৩ শতাংশ।
-
সূত্র: রয়টার্স