চীনে করোনার চিকিৎসায় ৩ হাজার বছরের পুরনো দাওয়াই
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত কোন নির্দিষ্ট ঔষধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেননি কেউই। এরমধ্যেই খবর এসেছে, চীনের হুবেই প্রদেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে চীনের হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন দাওয়াই।
ব্লুমবার্গ নিউজ বলছে, দেশটির হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধান ওয়াং হেশেং নিজেই এই তথ্য দিয়েছেন। এই হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল। করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এই প্রদেশেই সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন।
ওয়াং জানান, করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় পশ্চিমা ঔষধের পাশাপাশি স্থানীয় এই দাওয়াইগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে এবং সেগুলো বেশ কাজেও দিচ্ছে।
হুবেই প্রদেশে আক্রান্ত মোট মানুষের অর্ধেকেরও বেশিজনের ক্ষেত্রে ঐতিহ্যগত এই দাওয়াই ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। স্থানীয় এই পথ্যকে বলা হয় ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন। সংক্ষেপে টিসিএম।
এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াং বলেন, “আমাদের এই প্রচেষ্টা কিছু ভালো ফলাফল নিয়ে এসেছে। গবেষণা ও চিকিৎসা নিয়ে কাজ করতে টিসিএম বিষয়ে সবচেয়ে দক্ষ লোকজনদের ইতোমধ্যেই হুবেই প্রদেশে পাঠানো হয়েছে।”
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে কেবলমাত্র চীনে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ হাজার ৫০০ জন। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত কোনো ঔষধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
ওয়াং জানান, হুবেইতে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ২০০ জন ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বিষয়ক কর্মীকে পাঠানো হয়েছে।
গত সপ্তাহেই হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধানকে অপসারণের পর ওয়াংকে সে পদে নিযুক্ত করা হয়।
করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে। মাত্র দশদিনের ব্যবধানে সেখানে বিশাল দুটি হাসপাতাল নির্মাণ করা হলেও হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা যন্ত্রপাতির সংকট রয়ে গেছে সেখানে। পর্যাপ্ত মেডিকেল সরঞ্জামের অভাবে হুবেইতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।