টিকা প্রদত্ত সুরক্ষা ফাঁকি দিতে ও সংক্রমণ ছড়াতে আরও ভয়ঙ্কর করোনার নতুন সি.১.২ ভেরিয়েন্ট
প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা আর তারপর বিশ্বের বেশ কিছু দেশে শনাক্ত হয়েছে করোনাভাইরাসের নতুন অভিযোজিত ধরন- সি.১.২। সার্স কোভ-২ ভাইরাসের এ ধরনটি আরও বেশি সংক্রামক হওয়ার পাশাপাশি টিকা প্রদত্ত সুরক্ষা ফাঁকি দিতেও অনেক বেশি সক্ষম বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক এক গবেষণার ভিত্তিতে তারা এমন সতর্ক বার্তা দেন।
যৌথ গবেষণাটি করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজেস এবং কোয়াজুলু- নাটাল রিসার্চ ইনোভেশন অ্যান্ড সিকোয়েন্সিং প্ল্যাটফর্মের বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, চলতি বছরে মে মাসে সর্বপ্রথম নতুন ধরনটি তাদের দেশেই শনাক্ত হয়।
এরপর সি.১.২ শনাক্ত হয় চীন, কঙ্গো, মরিশাস, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল ও সুইজারল্যান্ডে। গত ১৩ আগস্ট নাগাদ পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একয়টি দেশে শনাক্তের কথা তুলে ধরা হয়।
বিজ্ঞানীদের গবেষণাটি নিয়ে এখনও একই খাতের সহ-গবেষকদের পর্যালোচনা বা পিয়ার রিভ্যিউ বাকি। তবে এটির মুদ্রিত প্রকাশনা পূর্ব একটি সংস্করণ গত ২৪ আগস্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম অনলাইন জার্নাল মেডরেক্সিভ- এ প্রকাশিত হয়। সি.১ ধরনটি থেকে সি.১.২ অনেকখানি অভিযোজনের মাধ্যমে বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে পরিবর্তিত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম ঢেউ চলাকালীন সংক্রমণের মূল উৎস ছিল সি.১।
সে তুলনায় অত্যাধিক ক্ষতিকারক ক্ষমতার কারণে সি.১.২- কে 'ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন' বা বিপজ্জনক ধরনের কাতারে রেখেছেন গবেষকরা।
দ. আফ্রিকাসহ বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ রোগ সংক্রমণের উৎস হিসেবে এই ধরনটির ভূমিকাকে সংখ্যা-উপাত্তে কম দেখানো হচ্ছে বলেও তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন।
গবেষণা নিবন্ধে বলা হচ্ছে, প্রতি মাসেই দ. আফ্রিকায় সি.১.২ ভেরিয়েন্ট সৃষ্ট সংক্রমণ বাড়ার ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা গেছে। গত মে মাসে মোট সংক্রমণের মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ হলেও জুন নাগাদ জিন সিকোয়েন্সিং তথ্যে এ হার ১.৬ শতাংশ উন্নীত হয়। এরপর, জুলাইয়ে হয়েছে ২ শতাংশ।
নিবন্ধটির লেখক বিজ্ঞানীরা বলেছেন, "এর আগে বেটা ও ডেল্টা ভেরিয়েন্ট বিস্তারের সময়ও একই রকম বৃদ্ধি দেখা দিয়েছিল।"
- সূত্র: এনডিটিভি