পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণু আবিষ্কার করল ভারতের দুই স্কুলছাত্রী
সৌরজগতের একটি গ্রহাণু নিজের কক্ষপথ পালটে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে- আর এই বিষয়টি প্রথম আবিষ্কার করল ভারতের দুই স্কুলছাত্রী।
গুজরাটের সুরাত রাজ্যের বৈদেহী বেকারিয়া সঞ্জয়ভাই এবং রাধিকা লাখানি প্রফুলভাই। দুজনেই সিবিএসই বোর্ডের পিপি সাভানি চৈতন্য বিদ্যা সঙ্কুল স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। মহাকাশ নিয়ে স্কুলের একটি বিজ্ঞানভিত্তিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল তারা। কাজ করতে গিয়েই মঙ্গলের কাছে তারা খোঁজ পেয়েছে এমন একটি গ্রহাণুর যেটি সবেগে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে।
এইচএলভি২৫১৪ নামক ওই গ্রহাণু আবিষ্কারের সম্পূ্র্ণ কৃতিত্ব বৈদেহী এবং রাধিকাকেই দিয়েছে নাসা।
টেক্সাসের হার্ডিন সিমন্স বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সার্চ কোলাবরেশন এবং স্পেস ইন্ডিয়ার সম্মিলিত উদ্যোগে ওই বিজ্ঞান অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল।
এই অনুষ্ঠানে যারা অংশগ্রহণ করেছে, তাদের কাজ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ হাওয়াই এ অবস্থিত একটি দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে তোলা মহাকাশের কিছু ছবি পর্যবেক্ষণ করা। এই টেলিস্কোপটির নাম প্যান স্টার টেলিস্কোপ।
ফেসবুকে বৈদেহী এবং রাধিকার আবিষ্কার নিয়ে এব্যাপারে শুক্রবার একটি 'ডিসকভারি অ্যালার্ট'–ও প্রকাশ করেছিল স্পেস ইন্ডিয়া। সেখানে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, 'স্পেস–অল ইন্ডিয়া অ্যাস্টেরয়েড সার্চ ক্যাম্পেন'–এ অংশ নেওয়া ওই দুই ছাত্রী একটি নতুন গ্রহাণুর আবিষ্কার করেছে, যেটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হতেই বৈদেহী এবং রাধিকার জন্য শুভেচ্ছা ঝরে পড়েছে দেশের সর্বত্র থেকে।
গ্রহাণু এইচএলভি২৫১৪ একটি নিয়ার আর্থ অবজেক্ট বা এনএও। অর্থাৎ পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হতে পারে এমন সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে এটি মঙ্গল গ্রহের কাছে রয়েছে। তবে এর পরপরই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে এটি। যদিও মহাকাশবিজ্ঞানীরা বলছে, সেই বিপদ আসতে এখনও অনেক দেরি। তারা বলছেন, অন্তত ১০ লক্ষ বছর পর মঙ্গল গ্রহ থেকে পৃথিবীর কাছে এসে পৌঁছাবে সেটি।