ভাইরাসের নতুন ধরন মোকাবেলায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন
করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ধরনগুলো (স্ট্রেইন) মোকাবেলা করার জন্য ভ্যাকসিন তৈরীতে কাজ করছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা। আগামী শরতের ভেতর সে ভ্যাকসিন প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে তারা আশাবাদী।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যান্ডি পোলার্ড বলেছেন, ভ্যাকসিনটি ' রোল আউট' হওয়ার আগে কেবল একটু পরীক্ষামূলক ট্রায়ালের ভেতর দিয়ে যেতে হবে।
যুক্তরাজ্যে এক কোটিরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণের সংবাদের পরই এটি জানাল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষ।
করোনাভাইসের নতুন যেসব ধরন এবং মিউটেশন রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে তাদের ভ্যাকসিন কার্যকরভাবে কাজ করবে বলে জানায় এই ভ্যাকসিন আবিষ্কারকারী দল। তবে সামগ্রিকভাবে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কিছুটা দুর্বল হতে পারে।
এখনো কোথাও সেভাবে আলোচিত বা প্রকাশিত না হলেও, নতুন তথ্য-প্রমাণ বলছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটি ভাইরাসের সংক্রমণ ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে।
ভ্যাকসিনটি ভাইরাসের বিস্তারকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিবে এবং পাশাপাশি মানুষের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া ও কোভিড -১৯ এ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাবে।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক এ ফলাফলকে 'একেবারে চমৎকার' উল্লেখ করে জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনগুলো 'এই মহামারী থেকে বেরিয়ে আসার পথ' বলে প্রমাণিত হয়েছে । তবে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের জন্য এখন যেটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করছে তা হলো ভাইরাসের পরিবর্তনশীল ধরনের সাথে খাপ খাওয়ানো।
প্রায় এক কোটি মানুষের ভ্যাকসিন গ্রহণকে তিনি 'গুরুত্বপূর্ন মাইলফলক' হিসেবে মনে করছেন। তিনি বলেন, 'প্রতিবার ভ্যাকসিনের নতুন ডোজ আমাদের পূর্বের চাইতে অধিক নিরাপদ বোধ করায়'।
দক্ষিণ আফ্রিকায় উদ্ভুত ধরনটি নিয়ে অবশ্য উদ্বেগ কাটেনি; ভ্যাকসিনের প্রতিরক্ষা বলয়ের প্রভাবমুক্ত হওয়ার প্রবণতা রয়েছে এই বিশেষ ধরনটির। যুক্তরাজ্যের কিছু অংশ এবং লন্ডন, সারে, কেন্ট, হার্টফোর্ডশায়ার এবং সাউথপোর্টে ইতিমধ্যে এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার লক্ষণ দেখা গেছে।
অধ্যাপক পোলার্ড বিবিসিকে জানান, তিনি ও তার দল ভাইরাসের পরিবর্তনশীল চরিত্রের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে এমন ভ্যাকসিনই প্রস্তুত করছেন।
"আমি মনে করি নতুন ভ্যাকসিন ডিজাইনের কাজটি দ্রুতই করা যাবে, এখানে মূলত স্পাইক প্রোটিনের জেনেটিক ক্রমটি পরিবর্তন করে দিতে হবে"।
"অতঃপর সেটি উৎপাদন করা এবং সরবরাহের আগে সামান্য পড়াশোনা করা। পুরো প্রক্রিয়াটি করতে বেশি সময় লাগার কথা নয় এবং শরতকালের ভেতরেই নতুন ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব"।