ভারতে মার্চ-মে মাসেই দেখা যায় অভিযোজিত অধিক সংক্রামক করোনাভাইরাস
যুক্তরাজ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইনের মতো অভিযোজিত অধিক সংক্রামক স্ট্রেইন মার্চ - মে'র মধ্যেই ভারতে সংক্রমণ ছড়ানো শুরু করে। তবে জুনের মধ্যেই এ স্ট্রেইনের সংক্রমণ কমে আসে।
ভারতের ইনস্টিটিউট অব জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির (আইজিআইবি) পরিচালক অনুরাগ আগারওয়াল দ্য প্রিন্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "ভারতে সংক্রমণের সংখ্যা চিন্তা করলে, এখানে অভিযোজিত কয়েক ধরণের ভাইরাস স্ট্রেইন পাওয়া গেলেও অবাক হবো না।"
ভারতে মার্চ- মে মাসে করোনাভাইরাস সংক্রমণের অন্য ধরণ লক্ষ করেন ড. আগারওয়াল।
"নতুন ধরণের নাম দেয়া হয়েছিল 'এ ফোর'। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেই এর সংক্রমণ শুরু হয়। আগের চেয়ে অধিক সংক্রামক ছিল নতুন এ স্ট্রেইন। দিল্লি, হায়দ্রাবাদ ও কার্নাটকের নমুনায় নতুন এ ধরণ চিহ্নিত হয়।" বলেন তিনি।
তবে 'এ-ফোর' অভিযোজিত ও অধিক সংক্রামক ভাইরাস হলেও তেমন শক্তিশালী ছিলনা। একারণে জুন নাগাদই নতুন এ স্ট্রেইনের সংক্রমণ কমে আসে।
তবে যুক্তরাজ্যে দেখা যাওয়া নতুন স্ট্রেইন অধিক সংক্রামক হওয়ার সাথে সাথে যথেষ্ট শক্তিশালী হতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।
অভিযোজিত ভাইরাসের উৎস জানতে বেশ কিছু নমুনার জিন সিকোয়েন্সিং করেছে কেরালা রাজ্য। অভিযোজিত ভাইরাস ভাইরাসের উৎস, সংক্রমণের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কেও বুঝতে সাহায্য করে। অভিযোজিত ভাইরাসের জিন সিকোয়েন্সিং করার মাধ্যমে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কার্যকর উপায়ও বের করা সম্ভব।
এপর্যন্ত ভারত ৪ হাজার ৩০০ নমুনার জিন সিকোয়েন্স করেছে।
- সূত্র: দ্য প্রিন্ট