মার্কিন নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চান ট্রাম্প
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পোস্টাল ভোটিং বাড়ানোর কারণে জালিয়াতি হওয়ার এবং নির্ভুল ফলাফল না পাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার এ দাবি করেন দেশটির বর্তমান প্রসিডেন্ট। আগামী নভেম্বরে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
যতদিন মানুষের 'যথাযথভাবে, নিরাপদভাবে ও নিরাপত্তার সঙ্গে' ভোট দেওয়ার পরিবেশ ফিরে না আসে, ততদিন পর্যন্ত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন তিনি।
ট্রাম্প তার দাবির পক্ষে খুব একটা প্রমাণ তুলে ধরতে না পারলেও মেইল-ইন ভোটিংয়ে জালিয়াতির আশঙ্কা প্রকাশ করে এর বিরোধিতা তিনি দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছেন।
এর আগে, করোনাভাইরাস মহামারিকালে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় পোস্টাল ভোটিংয়ের পক্ষে মত দেয় যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প বলেন, 'সর্বজনীন মেইল-ইন ভোটিং' নভেম্বরের নির্বাচনকে 'ইতিহাসের সবচেয়ে ত্রুটিযুক্ত ও প্রতারণাপূর্ণ' নির্বাচনে পরিণত করবে এবং সেটি হবে 'যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় লজ্জা'।
এর আগে এ মাসের শুরুতে আগামী নভেম্বরে 'অল-মেইল' ব্যালট ইলেকশন সমর্থনের পরিকল্পনা করছিল ছয়টি রাজ্য: ক্যালিফোর্নিয়া, উটাহ, হাওয়াই, কলোর্যাডো, অরিগন ও ওয়াশিংটন।
ওই রাজ্যগুলো তালিকাভুক্ত সকল ভোটারের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পোস্টাল ব্যালট পাঠাবে এবং তারপর সেগুলো ভোটাররা নির্বাচনের দিন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত পাঠাবে কিংবা নির্ধারিত জায়গায় জমা দেবে। অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে কেন্দ্রে হাজির হয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগও থাকবে; তবে সেটা সীমিত পরিসরে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক রাজ্যই যেকোনো তালিকাভুক্ত ভোটারকে তাদের ইচ্ছেমাফিক ডাকযোগে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে রাজি।
ডাকযোগে ভোট দেওয়ার বিষয়টির সমালোচকরা বলছেন, এভাবে একজনের পক্ষে একাধিক ভোট দেওয়া সম্ভব। এর আগে ট্রাম্প বলেছেন, এই প্রক্রিয়ার ভোট হলে 'কারও লিভিংরুমে বসে হাজার হাজার লোক একসঙ্গে অনেক ব্যালটে স্বাক্ষর করার' ঝুঁকি রয়েছে।
অবশ্য দেশটিতে রাষ্ট্রীয় ও রাজ্য পর্যায়ে এ ধরনের প্রচুর নির্বাচন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরীক্ষামূলকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে; আর তাতে জালিয়াতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
- সূত্র: বিবিসি