সু চি’কে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের জান্তা
রাজধানী নেপিডোর বাসভবন থেকে মিয়ানমারের সাবেক স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি এবং তার সরকারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্টকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে দেশটির সামরিক জান্তা। রাজনৈতিক মিত্ররা তাদের সুরক্ষা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একথা জানান।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। তারপর থেকেই আলোচিত দুই নেতা নেপিডোতে নিজ নিজ বাসভবনে গৃহবন্দী ছিলেন।
গত সোমবার সু চি'র দল এনএলডি ও অন্যান্য রাজনৈতিক মিত্রদের সমন্বয়ে গঠিত ছায়া সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, "আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি যে, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি'কে অজ্ঞাত একটি স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।"
ইতঃপূর্বে, আন্তর্জাতিক আদালতে সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা গণহত্যাকে সমর্থন করা সু চি'র বিরুদ্ধেই এখন জান্তা সরকার রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ভঙ্গসহ, দাঙ্গা উস্কে দেওয়ার মতো ছয়টি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে বিচার শুরু করেছে। উইন মিন্টের বিরুদ্ধেও সহিংসতায় উস্কানি দেওয়াসহ কোভিড-১৯ বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে জান্তা প্রশাসন।
উভয় নেতার আইনি দলের প্রধান খিন মুয়াং জো বলেন, গত ২৪ মে আদালতে তোলার আগে সু চির আইনজীবীরা তার সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ পান। ওই সময় সু চি আইনজীবীদের বলেন, মাত্র এক রাত আগেই তাকে সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জো বলেন, "আদালতে শুনানির পর আমরা আইনজীবীরা তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারিনি। সু চি আমাদের সকলের প্রাণপ্রিয় নেত্রী, তাই গ্রেপ্তারের প্রথম দিন থেকেই আমরা তার সুরক্ষা নিয়ে বিচলিত, সাম্প্রতিক ঘটনায় সেই শঙ্কা যেন নতুন মাত্রা পেল।"
জান্তা সরকারকে "সন্ত্রাসী সামরিক পরিষদ" আখ্যা দিয়ে জাতীয় ঐক্যের ছায়া সরকার সকলের জন্য জবাবদিহি ও সুবিচার নিশ্চিত করার পক্ষে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে। একইসঙ্গে, জান্তার প্রতি অভ্যুত্থান পরবর্তীকালে নেওয়া সহিংস পদক্ষেপ এবং দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর পরিচালিত অপরাধগুলো স্বীকার করে নেওয়ার আহবান জানানো হয়।
- সূত্র: ব্লুমবার্গ