হোয়াইট হাউসকে ঘিরে বিক্ষোভ চলাকালীন মাটির তলায় লুকিয়েছিলেন ট্রাম্প
তবে কি ভয় পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, মানুষের রোষ থেকে বাঁচতেই কি তাকে আশ্রয় নিতে হলো হোয়াইট হাউসের মাটির তলায়? করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এমনতিই নাজেহাল আমেরিকা, এরপর আবার মরার উপর খাঁড়ার ঘা শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ দ্বন্দ্ব।
কিছুদিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের নির্মমভাবে হত্যার ঘটনার জেরে পুরো আমেরিকা জুড়ে এখন চলছে প্রবল বিক্ষোভ ও আন্দোলন। সেই বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ে হোয়াইট হাউসেও। ওয়াশিংটন ডিসিতে শুক্রবার রাতে হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভকারীরা উপস্থিত হওয়ার পর যখন পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তখনই নাকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষায় তাকে হোয়াইট হাউসের আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে নিয়ে যাওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাতে এই সংবাদ জানিয়েছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। জানা গেছে, সুরক্ষিত বাঙ্কার থেকে তাকে ওপরে তোলার পরেও নাকি বেশ আতঙ্কেই ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিক্ষোভ চলাকালীন প্রায় ঘণ্টাখানেক মাটির তলায় লুকিয়ে থাকতে হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। খবর এনডিটিভির।
গত শুক্রবার যখন কয়েকশো লোক রীতিমতো আন্দোলন করতে করতে হোয়াইট হাউসের দিকে এগোন তখনই প্রেসিডেন্টের সুরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সিক্রেট সার্ভিস এবং পার্ক পুলিশের কর্মকর্তারা তাদের মাঝপথেই আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল, পেপার স্প্রে এবং ফ্ল্যাশব্যাং গ্রেনেডও ছোঁড়ে পুলিশ।
সবমিলিয়ে শুক্রবার রাতে হোয়াইট হাউসের বাইরে যেভাবে মানুষের বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে তা দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সঙ্গীসাথীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মাটির তলার আস্তানায় পাঠিয়ে দেওয়া হলেও মেলানিয়া ট্রাম্প এবং ব্যারন ট্রাম্পকেও তার সঙ্গে সেখানে পাঠানো হয়েছিল কিনা তা এখনও অস্পষ্ট।
জানা গেছে, পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীনই কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়, আর তারপর থেকেই ওই ঘটনার বিরুদ্ধে ক্রমাগত মানুষের ক্ষোভ দানা বাঁধছে। শুক্রবারই ওই যুবকের হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভের সময় মিনেসোটা, নিউইয়র্ক এবং আটলান্টায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সতর্ক সেখানকার প্রশাসন। জানা গেছে অতিরিক্ত ২,০০০ জন জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষীদের ১৫ টি রাজ্য এবং রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে মোতায়েন করা হয়েছে।