৯৫টি দেশের জন্য কোভিড পিল তৈরির অনুমোদন দিবে ফাইজার
বিশ্বের ৯৫টি নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে কোভিডের অ্যান্টিভাইরাল পিল পৌঁছে দিতে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওষুধের জেনেরিক সংস্করণ তৈরির অনুমতি দিবে ফাইজার। অর্থাৎ ব্র্যান্ড নাম ভিন্ন হলেও ওষুধটির উপাদান একই থাকবে।
ফাইজারের সঙ্গে লাইসেন্স চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিবে জাতিসংঘ সমর্থিত সংস্থা মেডিসিনস প্যাটেন্ট পুল (এমপিপি)। লাইসেন্সের মাধ্যমে প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে নিজস্ব সংস্করণ ছাড়তে পারবে। অন্যদিকে, প্যাক্সলোভিড ব্র্যান্ডনামে এই ওষুধ বিক্রি করবে ফাইজার।
ফাইজারের দাবি, ক্লিনিকাল ট্রায়াল অনুযায়ী কোভিডের এই পিল প্রাপ্তবয়স্কদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা ও মৃত্যুঝুঁকি ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। এইচআইভি ড্রাগ রাইটোনাভিরের সঙ্গে মিলিতভাবে এই ড্রাগ ব্যবহৃত হবে।
এমপিপির নির্বাহী পরিচালক চার্লস গোর এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "কোভিড-১৯ এর প্রকোপ থেকে মানুষকে বাঁচানোর আরেকটি হাতিয়ার যুক্ত করতে পেরে আমরা খুশি।"
কয়েক মাসের ভেতর কোভিড পিলের জেনেরিক সংস্করণ সহজলভ্য হবে বলেও আশা করেন তিনি।
ফাইজারের প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বোরলা এক বিবৃতিতে বলেন, "কোভিড-১৯ সংক্রমণের তীব্রতা কমাতে আমাদের মুখে খাওয়ার অ্যান্টিভাইরাল এই ওষুধ কাজে দিবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।"
নিম্ন আয়ের দেশে পিল বিক্রি থেকে রয়্যালটি নিবে না ফাইজার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক কোভিড-১৯ যতদিন জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা হিসেবে চিহ্নিত থাকবে ততদিন অন্যান্য দেশের জন্যও থাকবে এই ছাড়।
ইতোমধ্যে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা মার্ক তাদের কোভিড-১৯ পিল মলনুপিরাভিরের জন্য ১০০টিরও বেশি দেশে লাইসেন্স প্রদান করেছে। কিন্তু তারপরেও তা নিম্ন ও নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষদের জন্য যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
- সূত্র: রয়টার্স