১২ বছরের কম বয়সীদের জন্য ফাইজারের টিকা ব্যবহারের সুপারিশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষায় ফাইজারের টিকার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শুক্রবার সংস্থাটি এই পরামর্শ দেয়।
বর্তমানে ১২ বছর বা তারচেয়ে বেশি বয়সীদেরকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে, বুধবার প্রচলিত টিকাগুলোর কার্যকারিতা মূল্যায়ন সংক্রান্ত স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অফ এক্সপার্টস (এসএজেই)-এর বৈঠকের পর এই সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
সুপারিশে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য টিকার ১০ মাইক্রোগ্রাম ডোজ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ১২ বছর বা তার বেশি বয়সীদের শরীরে ফাইজারের টিকার ৩০ মাইক্রোগ্রাম ডোজ ব্যবহার করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইজরায়েল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই এ বয়সী জনগোষ্ঠীর জন্য ফাইজার বায়োটেকের কোভিড-১৯ টিকার অনুমোদন দিয়েছে।
ডব্লিউএইচও'র ভ্যাকসিন ডিরেক্টর কেট ও'ব্রায়েন জানিয়েছেন, ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের মধ্যে ফাইজারের টিকা প্রয়োগ নিরাপদ বলেই প্রমাণিত হয়েছে। এসময় তাদের মধ্যে উদ্বেগজনক কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
এছাড়া, বয়স্ক জনগোষ্ঠী ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে ফাইজারের বুস্টার ডোজ দেওয়ারও সুপারিশ করেছে ডব্লিউএইচও'র বিশেষজ্ঞ দল।
যেসব দেশের জনগোষ্ঠীর অর্ধেক বা তারচেয়ে বেশি মানুষের টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে, সেসব দেশগুলোকে কম ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর আগে উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে এমন জনগোষ্ঠীকে দ্রুতই বুস্টার ডোজের আওতায় আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এসএজিই'র চেয়ারম্যান আলেজান্দ্রো ক্র্যাভিওটো বলেন, "উচ্চ ঝুঁকির অন্তর্ভুক্ত জনগোষ্ঠীর জন্য বুস্টার ডোজ নিশ্চিতকরণ মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়া এবং মৃত্যুহার কমাবে। এটি প্রাথমিক টিকাকরণের চাইতে ভালো ফলাফল বয়ে আনবে।"
বিশেষজ্ঞ দল জানিয়েছে, ফাইজারের বুস্টার ডোজ ব্যবহার এতদিন কেবল নির্দিষ্ট বয়সের জনগোষ্ঠীর মধ্যেই সীমিত ছিল। সব বয়সীদের জন্য 'নিরবচ্ছিন্নভাবে' এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন ছিল না।
তবে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা বা এর কার্যকারিতার কোনো প্রমাণ এখনও বিশেষজ্ঞদের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও'র ও'ব্রায়েন।
- সূত্র: রয়টার্স