চীনে ১৩৩ জন যাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত
১৩৩ জন যাত্রী নিয়ে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমের পাহাড়ি অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের একটি যাত্রীবাহী বিমান। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভির এক প্রতিবেদনে এই সংবাদ জানানো হয়।
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমে গুয়ানজি অঞ্চলের উঝাও শহরের প্রত্যন্ত এলাকায় বিধ্বস্ত হয় বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি। বিমান ধসের ঘটনায় আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।
চীনের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোও জানিয়েছে, চায়না ইস্টার্ন ফ্লাইট- এম ইউ ৫৭৩৫ সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় কুনমিং শহর থেকে উড্ডয়নের পরে গুয়াংজুতে তার নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছায়নি।
টুইন-ইঞ্জিন এবং সিঙ্গেল আইলের বোয়িং ৭৩৭ বিমান স্বল্প ও মাঝারি দূরত্বের ফ্লাইটের জন্য বিশ্বের জনপ্রিয় বিমানগুলোর অন্যতম।
অন্যদিকে চায়না ইস্টার্ন চীনের তিনটি প্রধান এয়ারলাইনসের একটি; প্রতিষ্ঠানটি এখনও বিমান বিধ্বস্ত প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেনি।
তবে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইটটি পরে সাদা-কালো হয়ে ওঠে; বিমান দুর্ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এবং অনুমিত ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি প্রতীক হিসেবে এয়ারলাইনসগুলো এ আচরণ করে থাকে।
নিরাপত্তার ব্যাপারে চীনের এয়ারলাইন খাতকে উৎকৃষ্ট হিসেবেই গণ্য করা হয়; গত এক দশক যাবত বিশ্বে শীর্ষেও রয়েছে তারাই।
এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্কের মতে, চীনের সর্বশেষ প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনাটি ছিল ২০১০ সালে, হেনান এয়ারলাইনসের এমব্রেয়ার ই-১৯০ নামক বিমানটি ইচুন বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা ৯৬ যাত্রীর মধ্যে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়।
এছাড়াও ১৯৯২ সালে একটি চায়না সাউদার্ন ৭৩৭-৩০০ জেট গুয়াংঝু থেকে গুইলিনের দিকে যাওয়ার সময় বিধ্বস্ত হয়, এতে থাকা ১৪১ আরোহীর সবাই মারা যায়।
[এটি একটি ডেভেলপিং স্টোরি এবং একটু পরপর আপডেট করা হচ্ছে]
- সূত্র: আল-জাজিরা, ডেইলি মেইল, রয়টার্স