দুর্নীতির দায়ে সু চিকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমারের আদালত
বুধবার (২৭ এপ্রিল) মিয়ানমারের সামরিক সরকার শাসিত একটি আদালত ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে, তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
মিয়ানমারের জান্তা আদালত ৭৬ বছর বয়সী এই নেতাকে প্রায় সাড়ে ১১ কেজি স্বর্ণ এবং ইয়াঙ্গুনের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফিও মিন থেইনের কাছ থেকে নগদ মোট ৬ লাখ মার্কিন ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এ কারাদণ্ড দিয়েছে।
তবে সূত্র জানিয়েছে, সু চি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অভিযোগগুলোকে 'অযৌক্তিক' বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
সু চির বিরুদ্ধে দায়ের করা ১১টি দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে এই মামলাটিই ছিল প্রথম। প্রতিটি মামলায় সর্বোচ্চ কারাদণ্ডের মেয়াদ ১৫ বছর করে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন সু চি। এর আগের পাঁচ বছর তিনি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর হিসেবে ক্ষমতায় ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে অন্তত ১৮টি অপরাধের অভিযোগ এনেছে জান্তা সরকার। সবগুলো মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সম্মিলিতভাবে সর্বোচ্চ প্রায় ১৯০ বছরের কারাদণ্ডের দণ্ডিত হবেন তিনি।
এই রায়ের পর সু চিকে কারাগারে স্থানান্তর করা হবে কিনা তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। বর্তমানে তাকে একটি অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে। মিয়ানমারের জান্তা সরকার প্রধান মিন অং হ্লাইং বলেছেন, অন্যান্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেও অজ্ঞাত ওই জায়গাতেই থাকতে পারেন তিনি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নোবেল বিজয়ী সু চির বিচার কাজ চলছে সম্পূর্ণ বদ্ধ দরজার পিছনে। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক রয়টার্সের সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
- সূত্র: রয়টার্স