অ্যাডিলেডে অসহায় কোহলিবাহিনী
নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার পর বড় হার মেনে নিতে হলো ভারতকে। দিবা-রাত্রির অ্যাডিলেড টেস্টে কোহলিবাহিনীকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ম্যাথু ওয়েডের ৩৩ ও জো বার্নসের অপরাজিত ৫১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় অজিরা।
প্রথম ইনিংসে বিরাট কোহলির ৭৪, জেতেশ্বর পূজারার ৪৩ ও অজিঙ্কা রাহানের ৪২ রানে ২৪৪ রান তোলে ভারত। উমেশ যাদব, রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের বোলিং তোপে ১৯১ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। ম্যাচেসরার পুরস্কার জেতা অজি অধিনায়ক টিম পেইন খেলেন সর্বোচ্চ ৭৩ রানের ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে ৫৩ রানের লিড পায় ভারত। ৬২ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শুরু করা সফরকারীদের হাতে ছিল ৯ উইকেট। কিন্তু তৃতীয় দিন সকালে ভারতের ৯ উইকেট তুলে নিতে একেবারেই সময় নেননি অস্ট্রেলিয়ার দুই পেসার প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউড। ৩৬ রানেই ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে দেন তারা। কামিন্স ২১ রানে ৪টি ও হ্যাজলউড ৮ রানে ৫টি উইকেট নেন।
সামান্যর জন্যই রক্ষা হয়েছে। না হলে টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় পড়তে পারতো ভারত। টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে কম রানের ইনিংস না হলেও নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন ইনিংসটা এখন বিরাট কোহলির দলের।
টেস্টে ভারতের সবচেয়ে কম রানের ইনিংসটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ১৯৭৪ সালে। লর্ডসে ৪২ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল সুনীল গাভাস্কার-অজিত ওয়াদেকারদের দল। ৪৬ বছর পর এসে অস্বস্তির সেই রেকর্ডটি বিরাট কোহলির দলের হয়ে গেল।
টেস্টে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার অস্বস্তির রেকর্ডটি নিউজিল্যান্ডের। ১৯৫৫ সালে অকল্যান্ড টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ২৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল কিউইদের দ্বিতীয় ইনিংস। ইংল্যান্ড ইনিংস ও ২০ রানে জিতেছিল ম্যাচটি।
গোলাপি বলের অ্যাডিলেড টেস্টে মাত্র ২১.২ ওভারে শেষ হয়ে যায় ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। এই ইনিংসে তাদের কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছাতে পারেননি। বিরাট কোহলির দলের স্কোরকার্ড এক অঙ্কের সংখ্যায় ভরপুর। সর্বোচ্চ ৯ রান করেন ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল।
পৃথ্বী শ ৪, অধিনায়ক বিরাট কোহলি ৪, হনুমা বিহারী ৮, ঋদ্ধিমান সাহা ৪, উমেশ যাদব ৪*, জাসপ্রিত বুমরাহ ২ ও চোট পেয়ে মাঠ ছাড়া মোহাম্মদ শামি করেন ১ রান। চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানে ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন রানের খাতা খুলতে পারেননি।